ইরান-সমর্থিত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কড়া জবাব দেয়ার ইঙ্গিত পেন্টাগনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছনে, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪।

জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন আমেরিকান সেনা নিহত ও ৪০ জনের বেশি আহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান-সমর্থিত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে তীব্রতর আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন উত্তর-পূর্ব জর্ডানের টাওয়ার ২২ নামক ঘাঁটির ঘুমানোর কোয়ার্টারে হামলাকে "জঘন্য" বলে অভিহিত করেছেন। প্রস্টেট ক্যান্সারে অস্ত্রোপচারের জটিলতার কারণে ১ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এ জাতীয় পদক্ষেপ সহ্য করা হবে না।

ইরাকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহ আমেরিকান বাহিনীর উপর হামলা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে মনে হচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরাক ও সিরিয়া উভয় দেশে বেশ কয়েকদিনের হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন, যার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে থাকবে "ইরানি কর্মী ও স্থাপনা।‘’

গত ৪ জানুয়ারি বাগদাদে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনী হারাকাত-আল-নুজাবার নেতা নিহত হওয়ার ঘটনা বাদ দিলে, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী প্রতিক্রিয়ার লক্ষ্য ছিল মিলিশিয়া কর্মীদের পরিবর্তে তাদের ঘাঁটি আর গুদাম স্থাপনা।

তবে অনেক সমালোচক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সামরিক প্রতিক্রিয়ার বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটন কথা বলার যে প্রবণতা দেখিয়েছে, তার কারণে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা প্রস্তুতির সময় পেয়েছে। ওই মিলিশিয়াদের মধ্যে অনেকে ইরাকে ইসলামিক প্রতিরোধের ব্যানারে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে।

তবে অস্টিন বলেন, কিছু মিলিশিয়া তাদের ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে সরে যাচ্ছে, এমন খবরে তিনি উদ্বিগ্ন নন।

নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ইয়েমেনের হুথিরা আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক পরিবহন লক্ষ্য করে প্রায় ৪০টি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি হামলা ও হামলার চেষ্টা চালানো হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, ইয়েমেন সমযয়ানুযায়ী ভোরে এডেন উপসাগরে একটি ড্রোন ভূপাতিত করার মধ্য দিয়ে এর সূত্রপাত হয়।

গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র হুথিদের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিশেষ ভাবে তালিকাভুক্ত করে।