বুধবার কৃষকরা বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং ইতালি জুড়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এর মাধ্যমে তারা প্রধান বন্দর ও অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাণিজ্য ব্যাহত করার চেষ্টা করে। কৃষকরা তাদের পণ্যের আরও ভালো দাম এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর দাবিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে ব্রাসেলসের কাছাকাছি চলে গেছে।
বুধবার এই বিক্ষোভের তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছিল। ইইউর নির্বাহী শাখা ইউরোপীয়ান কমিশন যুদ্ধের সময় ইউক্রেন থেকে সস্তা রফতানি থেকে কৃষকদের রক্ষা করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল এবং কৃষকদের পরিবেশগত কারণে পতিত কিছু জমি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন প্যারিসের চারপাশে অবস্থানরত কৃষকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রুঙ্গিস বাজার ও বিমানবন্দর বন্ধ করে রাজধানীতে প্রবেশের যে কোনো প্রচেষ্টা 'রেড লাইন' হিসেবে বিবেচিত হবে। রুঙ্গিস বাজার থেকে প্যারিস এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে তাজা খাবার সরবরাহ করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামে চরম বিক্ষোভ হতে যাচ্ছে। সেখানে কৃষকরা সরকারি নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের সময় ইইউ সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা করছে। তাদের চাওয়া হলো, শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে যাতে তাদের সমস্যাগুলোর উল্লেখ থাকে এবং চিলি ও নিউজিল্যান্ডের মতো দূরবর্তী দেশগুলোর কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় আদায় করতে চাইবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইইউ কৃষকদের তীব্র বিরোধিতার কারণে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত রাখতে চান এবং তিনি সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
ব্যাপক অসুবিধা সৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও ইইউ সরকারগুলো বিক্ষোভকে চরম সতর্কতার সাথে বিবেচনা করছে। বেশিরভাগ বিক্ষোভই শান্তিপূর্ণ ছিল।
স্পেনের কৃষকরাও এই বিক্ষোভে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধিতে প্রস্তুত ছিল। তিনটি প্রধান স্প্যানিশ কৃষক সমিতি ইইউর অত্যধিক নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি পরিবর্তনের দাবিতে সামনের সপ্তাহগুলোতে বিক্ষোভ শুরু করতে সম্মত হয়েছে।