ইমরান খানঃ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার স্ত্রীর ১৪ বছরের কারাদণ্ড

ফাইল ছবি - পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইসলামাবাদের হাইকোর্টে পৌঁছানোর পরে পুলিশ প্রহরায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ( ১২ মে, ২০২৩ )

পাকিস্তানের একটি বিশেষ ফেডারেল আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ।

২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ৭১ বছর বয়সী ইমরান খান ও সাবেক ফার্স্ট লেডি বুশরা বিবির বিরুদ্ধে, সৌদি আরব সরকারের গহনা ও ঘড়িসহ রাষ্ট্রীয় উপহার অবৈধভাবে নিজেদের কাছে রাখা ও বিক্রির অভিযোগ আনা হয়।

রায়ে আদালত তাদের দশ বছরের জন্য সরকারি পদে থাকা নিষিদ্ধ করে। সেই সাথে প্রত্যেককে ২৮ লক্ষ ডলারেরও বেশি জরিমানা করা হয়েছে।

ইসলামাবাদের নিকটবর্তী এক কারাগারের অভ্যন্তরে এই শুনানি হয়। অন্য আরেকটি পৃথক মামলায় ইমরান খান তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। যার কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নেবার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন।

পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির সংসদীয় নির্বাচনের আগে ইমরান খানের বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং এর আইনি দল ইমরান খানের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

মঙ্গলবার দেশটির এক বিশেষ আদালত ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়।

ইমরান খানের আইনজীবী সালমান সফদার সাইফারের রায়কে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চ আদালতের মানদণ্ডে এই রায় টিকবে না।

তিনি বলেন, গতকাল রাতে এবং আজ ভোরে ১৮ জন সাক্ষীকে জেরা করা হয়, খানের আইনী দলকে আদালতের বাইরে রাখা হয়, তাদেরকে জেলেও ঢুকতে দেয়া হয়নি।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যে “সাইফার” নামে পরিচিত একটি গোপন কূটনৈতিক তারবার্তার বিষয়বস্তু নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করার অভিযোগ রয়েছে।

ইমরান খান দাবি করেন, ওই কূটনৈতিক তারবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং পাকিস্তানে আমেরিকান প্রভাব মুক্ত পররাষ্ট্র নীতিতে চাপ প্রদানের কারণে শাস্তি হিসেবে সামরিক সহায়তায় তার সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে। ওয়াশিংটন ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।