পাকিস্তানে ইমরান খানের সমর্থকদের নির্বাচনী মিছিল, কয়েক ডজন আটক

করাচিতে এক নির্বাচনী মিছিল চলাকালে সে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআইয়ের সমর্থকদের আটক করছে পুলিশ। ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪।

পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হাজার হাজার সমর্থক চলমান দমনপীড়ন উপেক্ষা করেই রবিবার দেশজুড়ে মিছিল করেছে। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে খানের প্রার্থীদের ভোটদানের দাবিকে তারা পুনরায় ব্যক্ত করেছে।

জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে ভোটারদের সক্রিয় করতে ব্যাপক প্রচারণা ও মিছিল আয়োজনের জন্য ৭১ বছর বয়সী ইমরান খান তাঁর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই দলের মনোনীত ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের ভোট নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রাক-নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ উঠেছে এবং দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে সেনা বাহিনী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে। এই অভিযোগের জবাব দেয়নি সে দেশের সামরিক বাহিনী।

ইমরান খানের আহ্বান রবিবার যেভাবে বিপুল সাড়া ফেলেছে তা থেকে সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষার ফলাফল আন্দাজ করা যায়। এই সমীক্ষাতে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ইমরান খান পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক এবং পিটিআই সে দেশের বৃহত্তম জাতীয় রাজনৈতিক দল।

পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিতে হাজার হাজার সমর্থককে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও লাঠি ব্যবহার করেছে এবং সমর্থকদের দুই ডজনের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পিটিআই নেতারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আয়োজন করার অনুমতি নেয়নি দাবি করে পুলিশ কর্মকর্তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন।

করাচিতে নির্বাচনী মিছিলের উপর হামলাকে “সবচেয়ে লজ্জাজনক কাজের একটি” বলে নিন্দা করেছে পিটিআই।

লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি, পেশোয়ার, ফয়সালাবাদসহ পাকিস্তানের অন্যান্য বড় শহরে মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে, যদিও ওই সব সমাবেশের জন্য অনুমতি প্রত্যাহার বা বাতিল করেছিল পুলিশ।

জনসমাবেশ আয়োজনে পিটিআই-কে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং এই দলের কয়েক ডজন গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীকে নির্বাচনে অযোগ্য বলে বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যাপকভাবে খর্ব করার অভিযোগ উঠেছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে “সমাজ মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক প্রচারণা” চালানোর অভিযোগের উত্তর চেয়ে গত সপ্তাহে পাকিস্তানের কয়েক ডজন সাংবাদিক, রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার ও ইউটিউব শো আয়োজককে তলব করেছে ফেডারেল তদন্তকারী সংস্থা বা এফআইএ।

ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী মুর্তাজা সোলাঙ্গি রবিবার নিশ্চিত করেন যে একাধিক সাংবাদিক ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে এফআইএ।