রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের কাছে একটি রুশ সামরিক পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন, উভয় দেশের কর্মকর্তারা তদন্তের আহবান জানিয়েছেন।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বুধবার বেলগোরোদ অঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করার অভিযোগ করা হয়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে, বিমানটিতে ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীসহ ৭৪ জন আরোহী ছিলেন। ওই যুদ্ধবন্দীরা একটি বন্দী বিনিময় পদক্ষেপের অংশ।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এই সপ্তাহে জাতিসংঘে বৈঠকের জন্য নিউইয়র্কে ছিলেন। তিনি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে “সন্ত্রাসী হামলা” চালানোর অভিযোগ করেছেন।
“মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সম্পাদিত আরেকটি বিনিময় প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের বিমানে করে বেলগোরোদ অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল,” লাভরভ সাংবাদিকদের বলেন। “এর পরিবর্তে ইউক্রেনীয় পক্ষ খারকিভ অঞ্চল থেকে বিমানটিকে লক্ষ্য করে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এটি একটি প্রাণঘাতী হামলা ছিল।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেছেন, তার সরকার আন্তর্জাতিক তদন্তের ওপর জোর দিচ্ছে।
বুধবার রাতের ভাষণে জেলেন্সকি বলেন, “যতটা সম্ভব সকল প্রকৃত ঘটনা অবশ্যই সামনে আনতে হবে। বিমানটি রাশিয়ার ভূখণ্ডে বিধ্বস্ত হয়েছে যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ”
জেলেন্সকি বলেন, রাশিয়া “রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দীদের জীবন, তাদের স্বজনদের অনুভূতি আর আমাদের সমাজের আবেগ নিয়ে খেলছে।”
সরাসরি বিমান দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ না করলেও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, রাশিয়া বেলগোরোদে রুশ সামরিক বিমান অবতরণের সাথে সম্পর্কিত হামলা চালিয়েছে এবং ইউক্রেন ভবিষ্যতে হামলার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী রুশ সামরিক বিমানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করবে।