পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে সম্মত পাকিস্তান ও ইরান

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে আয়োজিত সামিট অফ দ্য ফিউচারে বক্তব্য রাখছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি।

পাকিস্তান এবং ইরান সোমবার ঘোষণা দিয়েছে যে চলতি সপ্তাহেই ইরান এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতরা তাদের স্ব স্ব কর্মস্থলে ফিরে আসবেন।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরে কথিত ইরানি সন্ত্রান্সীদের ওপর হামলা চালায় ইরান। এর জবাবে পাকিস্তানও ইরানের ভেতরে হামলা চালায়। এ সব হামলার প্রায় এক সপ্তাহ পর এই পদক্ষেপ নেয়া হলো।আর, এর মধ্য দিয়ে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘটনাগুলোতে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এর মধ্যে ইরানে নিহত হয় ৯ জন ও পাকিস্তানে দুই জন নিহত হয়।

নজিরবিহীন এই উত্তেজনার মধ্যে, নিজ দেশ সফরে থাকা ইরানি রাষ্ট্রদূতকে কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে বারণ করে পাকিস্তান। আর, নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতকে তেহরান থেকে ইস্লামাবাদে ডেকে নিয়ে যায় তারা। একই সাথে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের উচ্চ পর্যায়ের সফর স্থগিত করে পাকিস্তান।

সোমবার দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রদানর করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৯ জানুয়ারি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানির আমন্ত্রণে পাকিস্তান সফর করবেন।

অন্যদিকে, এক ফোনালাপে শুক্রবার দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা উত্তেজনা প্রশমন ও পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সম্মত হন।

ইরান বলেছে, তারা পাকিস্তানে সুন্নি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী জইশ আল-আদলের গোপন আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিলো।

রাষ্ট্রবিরোধী বিদ্রোহীরা অনেক বছর ধরেই দেশ দুটির ৯০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর মাঝে মধ্যেই তারা প্রাণঘাতী হামলা চালায়।

উভয় দেশের শিয়া মুসলমানদের টার্গেট করেছে কট্টরপন্থী সুন্নি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস। ফলে, এই অঞ্চলে সন্ত্রান্সী হামলার হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তেহরান ও ইসলামাবাদ তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও, অনেকে আশঙ্কা করছেন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোকে চাপ সৃষ্টি করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।