ইসরাইল মঙ্গলবার গাজা ভূখণ্ডে তাদের ২৪ জন সৈন্য নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে।হামাস নির্মুলে গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে, এটা হলো, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর জন্য সবচেয়ে খারাপ দিনগুলোর একটি।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের জানান, সোমবার ১১ জন সৈন্য দুটি ভবন ধ্বংস করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এসময়, কাছাকাছি অবস্থান থেকে এক ব্যক্তি ট্যাংক লক্ষ করে একটি রকেট নিক্ষেপ করে।এর ফলে ভবনে থাকা বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়। এতে ভবনটি ইসরাইলি সৈন্যদের ওপর ধ্বসে পড়ে। এছাড়া, একটি পৃথক হামলায় আরো তিন জন সৈন্য নিহত হয় বলে জানান তিনি।
সামরিক বাহিনী এই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু্
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োযভ গ্যালান্ট মঙ্গলবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এ ঘটনাকে “কঠিন ও বেদনাদায়ক সকাল” বলে উল্লেখ করেছেন।
ইসরাইলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে।আর গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তারা স্বাস্থ্য স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, খান ইউনিসে তাদের সদর দফতরে ইসরায়েলি ড্রোন থেকে গুলি চালানো হয়েছে; একই সঙ্গে এই ভবনে গোলা বর্ষণ করা হয়েছে। যার ফলে, এই স্থানে সুরক্ষা নিতে আসা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে আহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার জানিয়েছেন, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা তাদের বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের একটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।
পরিস্থিতির বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, এর আগে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী অভিযোগ করেছিলো যে হামাস হাসপাতালে এবং হাসপাতালেরে আশেপাশে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। হামাসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
সোমবার হাসপাতালগুলোতে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।