প্রথমবারের মতো শিশুদের নিয়মিত ম্যালেরিয়া টিকা-কর্মসূচি শুরু করেছে ক্যামেরুন

কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচিতে নতুন ম্যালেরিয়া ভ্যাক্সিন দেয়ার সময় এক মা তার শিশুকে ধরে আছেন। ৩০ অক্টোবর ২০০৯।

ক্যামেরুনে সোমবার শিশুদের জন্য একটি নিয়মিত ম্যালেরিয়া টিকাদান কর্মসূচি চালু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে, শিশুদের জন্য নিয়মিত ম্যালেরিয়া টিকাদান কর্মসূচি চালু করা প্রথম দেশ হয়ে উঠলো ক্যামেরুন।

“এটি একটি ঐতিহাসিক দিন;” এএফপিকে বলেন গাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের চিফ প্রোগ্রাম অফিসার অরেলিয়ান নুগুয়েন। তিনি এটাকে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি “সন্ধিক্ষণ“ (টার্নিং পয়েন্ট) বলে উল্লেখ করেন। নুগুয়েন বলেন, “আমরা অনেক দিন... প্রায় ৩০ বছর ধরে ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছি।”

ম্যালেরিয়া একটি মশাবাহিত, পরজীবী সৃষ্ট রোগ। সংক্রমিত মশার কামড়ের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের মতো লক্ষণ অনুভব করে। বিলম্ব চিকিৎসা বা চিকিৎসা না হলে, ম্যালেরিয়া থেকে গুরুতর জটিলতা তৈরি হতে পারে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যেতে পারে।

ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। আর এ রোগে মারা গেছে ৬ লাখ ২৭ হাজার মানুষ। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলো আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের শিশু।

ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সম্প্রতি দুটি ভিন্ন ভ্যাকসিন অনুমোদন করা হয়েছে। ক্যামেরুন গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন এর ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে। এই বছরের শেষের দিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভ্যাক্সিন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উভয় ভ্যাক্সিনেরই একাধিক ডোজ নিতে হয়। আর কোনোটাই সংক্রমণ বন্ধ করতে পারে না। চিকিৎসা কর্মকর্তারা ম্যালেরিয়া মোকাবেলায় মশারি টানানো অব্যাহত রাখতে এবং কীটনাশক ছিটানো চালিয়ে যেতে জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।