গাজার ‘মানবিক পরিস্থিতি’ এর চেয়ে খারাপ হতে পারে না, বলেছেন বোরেল

বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের শিবির থেকে খান ইউনিসে ইসরাইলের স্থল অভিযানের সময় ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে; ২২ জানুয়ারি, ২০২৪।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল সোমবার বলেছেন, ইসরাইল যেভাবে গাজা ভূখণ্ডে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তা “ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে ঘৃণার বীজ বপন করে যাচ্ছে।”

ইইউ মন্ত্রীরা সোমবার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কূটনীতিক রিয়াদ আল-মালিকির সাথে পৃথকভাবে আলোচনার আয়োজন করেন। এসব বৈঠকের আগে জোসেপ বোরেল এ কথা বলেন।

বোরেল সংবাদদাতাদের বলেন, “হামাস কী, হামাস কী করেছে, তা আমাদের মনে আছে। অবশ্যই আমরা তাদের কার্যক্রম প্রত্যাখ্যান করি এবং এর নিন্দা জানাই।”

তিনি আরো বলেন, “শুধুমাত্র সামরিক উপায়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আর, বিশেষ করে, যেভাবে এই সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাতে একেবারেই সম্ভব নয়।”

পশ্চিমা কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা গাজায় বেসামরিক ব্যক্তিদের হতাহতের বিষয়ে সমালোচনায় সরব, তাদের মধ্যে বোরেল অন্যতম প্রধান ব্যক্তি। বোরেল বলেন, “মানবিক পরিস্থিতির এর চেয়ে আর খারাপ হতে পারে না।”

তিনি আরো বলেন, “এখানকার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার কোনো ভাষা নেই। শত সহস্র মানুষ নিঃস্ব, আশ্রয়হীন, খাদ্যহীন, চিকিৎসাহীন; আর, বোমা হামলার শিকার হচ্ছে তারা। প্রতিদিন অসংখ্য বেসামরিক মানুষ নিহত হচ্ছে।”

ইসরাইল বেসামরিক নাগরিকদের বিপদে ফেলার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে। তারা বলেছে, জঙ্গি গোষ্ঠীটি ইচ্ছাকৃতভাবে আবাসিক এলাকায় এবং মাটির নিচে সুড়ঙ্গ-নেটওয়ার্কে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

সোমবারও গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। এই দিনে, গাজার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে হামাস জঙ্গিদের লক্ষ্য করে ইসরাইল বিমান হামলা পরিচালনা করেছে।

গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে বিমান হামলা হয়েছে; সেখানে ভয়াবহ লড়াই হয়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেট সোসাইটি বলেছে, ইসরাইলি সেনারা সংস্থাটির অ্যাম্বুলেন্স কেন্দ্র ঘেরাও করে রেখেছে। এ কারণে, তাদের অ্যাম্বুলেন্স খান ইউনিসে আহতদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

রবিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ শেষ করার জন্য হামাসের দেয়া একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

হামাস রবিবার ইসরাইলের ওপর তাদের সন্ত্রাসী হামলার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছে; তবে, নিজেদের “দোষ” স্বীকার করেছে। আর, তারা গাজায় “ইসরাইলের আগ্রাসন” বন্ধ করার আহবান জানিয়েছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।