উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সাথে মিত্রতার উপর জোর দিচ্ছে

মস্কোতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোই সন হুই, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪।

উত্তর কোরিয়া রবিবার জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতাকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে একটি “নতুন, বহুমুখী আন্তর্জাতিক শাসনব্যবস্থা” প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুইটি দেশই পৃথকভাবে চাপের মুখে আছে, যার মোকাবিলায় তারা একটি সমন্বিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মস্কোতে গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোই সন হুইর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের বৈঠকের বর্ণনায় উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পুতিনও পিয়ংইয়ং সফরের ইচ্ছের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন, তিনি “খুব শিগগির” আসতে পারেন।

উত্তর কোরিয়া সক্রিয়ভাবে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে আরও বলিষ্ঠ করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা প্রকাশ পেয়েছে সেপ্টেম্বরে তাদের নেতা কিম জং উনের রাশিয়া সফর, এবং পুতিনের সাথে শীর্ষ বৈঠকের মাধ্যমে।

ওয়াশিংটন, সিউল ও টোকিওর সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র প্রসঙ্গে অচলাবস্থার মাঝে কিম কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে বের হয়ে আসতে এবং নিজের অবস্থানকে আরও সুসংহত করতে চাইছেন।

রাশিয়ার জন্য অস্ত্র

পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে মিত্রতায় অস্ত্র বিষয়ে দুই দেশের সম্ভাব্য পারষ্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে গোলাবারুদ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারে, যার ফলে দেশটি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে সক্ষম হবে।

সম্ভবত এর বিপরীতে উত্তর কোরিয়া তাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়া অর্থনৈতিক ত্রাণ ও সামরিক সহায়তা পাবে, যা কিমের বাহিনীকে আরও উন্নত করবে। তবে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে, ওয়াশিংটন ও সিউলের কাছ থেকে আসা এই অভিযোগ পিয়ংইয়ং ও মস্কো উভয়ই অস্বীকার করেছে।

উত্তর কোরিয়ার মন্ত্রণালয় বলছে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে তাদেরকে “পূর্ণ সহায়তা” দেওয়ার জন্য “অসংখ্য ধন্যবাদ” জানিয়েছে।

তারা আরও জানায়, এশীয় মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে চোই ও রুশ কর্মকর্তারা “গুরুতর উদ্বেগ” প্রকাশ করেছেন।

তারা এই অঞ্চলে অস্থিরতা বৃদ্ধি ও উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন।