মঈন খান: ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা থাকবে না’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায়, বিএনপির সমমনা সংগঠন নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

আবদুল মঈন খান বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা থাকবে না।”

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বন্দুকের জোরে দেশ শাসন করছে বলে উল্লেখ করেন মঈন খান।

তিনি বলেন, “এখন শুধু আমরাই বলছি না, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বের মিডিয়ার দিকে তাকান, বিভিন্ন দেশের বিবৃতির দিকে তাকান।গত কয়েক বছর ধরে যা বলে আসছি, তারা এখন তার প্রতিধ্বনি করেছে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, দেশে-বিদেশে এটা প্রতিষ্ঠিত যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন মৃত।

তিনি জানান তাদের দলের একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। বলেন, “ইনশাল্লাহ আমাদের গণতন্ত্রের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”

“বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না;” যোগ করেন বিএনপি নেতা মঈন খান।

উল্লেখ্য, নাগরিক ঐক্য গণতন্ত্রের পক্ষে ও ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির শুরু করেছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য নয়। তাই, গত ৭ জানুয়ারি তারা একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করেছে।

ওবায়দুল কাদের: ‘বিএনপি বড় সহিংসতার জন্য শক্তি সঞ্চয় করছে’

এদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়া ছিলো দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।

নির্বাচনের পরও, বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত অপশক্তি নির্বাচন বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, “তারা এখন শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরনের সহিংসতার জন্য।”

“অগণতান্ত্রিক পন্থায় অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় বসাতে দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা ছিলো। আর এখন নেই; সে কথাও বলা যায় না;” যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিলে তা আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।

“তবে তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচন ভোটারশূন্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হয়নি;” বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির বর্তমান অবস্থানকে নীরবতা বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “তারা এখন শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরনের সহিংসতার জন্য।”

তিনি আরো বলেন, বিএনপির প্রতি নতুন করে আর কোনো আহ্বান নেই আ্ওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। “তারা নেতিবাচক রাজনীতি থেকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসুক এটাই চাই;” বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।