হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শুরুতে লেবাননের হেজবুল্লাহ মিলিশিয়ার বিরুদ্ধে হামলা করতে প্রস্তুত ছিল ইসরাইল, তবে শেষ মুহূর্তে এই হামলা বাতিল করা হয়েছিল। হেজবুল্লাহ যাতে আক্রমণ না করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য ইসরাইল এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল।
ইসরাইলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভার সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান গাডি আইসেনকট সে দেশের চ্যানেল ১২ টিভিতে বৃহস্পতিবার সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ওই হামলার পরিকল্পনা ও তা প্রত্যাহারের বিষয়কে নিশ্চিত করেন।
আইসেনকট বলেন, তাঁর মতে, ওই হামলা আঞ্চলিক সংঘাত শুরু করে দিতো।
তিনি ও সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গান্টজ এই পদক্ষেপের বিপক্ষে ছিলেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গত মাসে এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে পিছিয়ে আসতে বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আইসেনকটকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, যুদ্ধ বিষয়ক পরিকল্পনা কক্ষে তাঁর ও গান্টজের উপস্থিতি কি খারাপ সিদ্ধান্ত রুখতে সাহায্য করেছিল? এর উত্তরে আইসেনকট বলেন, “দ্ব্যর্থহীনভাবে।”
শুক্রবার গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, রাতের মধ্যে ৭৭ জন নিহত ও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে। ইসরাইল গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর খান ইউনিসে বিমান হামলা ও গোলা বর্ষণ অব্যাহত রাখে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, আল-আমাল হাসপাতালের কাছে বেশ কয়েকটি হামলা চালানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, গাজা ভূখণ্ডের ক্রম-অবনতিশীল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এক ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয়।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছেন যে, হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধের পরবর্তীতে যে-কোনও বন্দোবস্তের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে ওয়াশিংটনের দীর্ঘকালীন সমর্থনের তিনি বিরোধিতা করেন।
হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি ইসরাইলি নেতার এই বিবৃতিকে নাকচ করে দিয়েছেন।
কারবি বলেন, “এটা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নতুন কোনও মন্তব্য নয়। আমরা অবশ্যই একে ভিন্নভাবে দেখি।”
এই সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য “ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথ প্রশস্ত করা” জরুরি।