বৃহস্পতিবার ইসরাইল বলেছে, তারা গাজা ভূখণ্ডের উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এদিকে, গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাফাহতে ইসরাইলের বিমান হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিশরের সাথে লাগোয়া গাজার সীমান্তে অবস্থিত রাফাহতে চালানো হামলা কালে একটি বাড়ি আঘাত প্রাপ্ত হয়। চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, এ হামলায় নিহত ১৬ জনের মধ্যে অর্ধেকই শিশু।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস এলাকায় প্রায় ৪০ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া, গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে চালানো স্থল ও বিমান অভিযানে আরো বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
ইসরাইল আরো বলেছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে হামাসের মিত্র জঙ্গি গোষ্ঠী হেজবুল্লাহর বেশকিছু স্থাপনা লক্ষ্য করে তাদের সর্বশেষ বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। গাজা-যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে আন্তঃসীমান্ত হামলা বেড়েছে।
বুধবার দিনের শেষ দিকে কাতার বলেছে, হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের জন্য পাঠানো ওষুধ গাজায় পৌঁছেছে; তবে সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
কাতার এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় প্রতিষ্ঠিত চুক্তির অংশ হিসেবে এই ওষুধ সরবরাহ করা হয়। চুক্তিতে, ৪৫ জন জিম্মি, যাদের মারাত্মক রোগ রয়েছে, তাদের জন্য ওষুধ পাঠানোর শর্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া, গাজা ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ওষুধ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ও চুক্তির অংশ।
বুধবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদ বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজার জনগণ ঘিঞ্জি আশ্রয়কেন্দ্রে গাদাগাদি করে বাস করছেন। তাদের ওষুধের অভাব প্রকট; ঘন ঘন টেলিযোগাযোগ ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতিতে পড়ছেন তারা। আর, এখানে যে সীমিত পরিমাণ পণ্য বিক্রয়ের জন্য রয়েছে; এগুলোর দাম এখন অত্যন্ত চড়া। এমন সব সমস্যা মোকাবেলা করছে গাজার জনগণ।
জাতিসংঘ বলছে, গাজার জনসংখ্যা ৮৫ শতাংশ; অর্থাৎ প্রায় ১৯ লাখ মানুষ; যুদ্ধের কারণে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।