ইয়েমেনে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলার বিরুদ্ধে ইয়েমেনে হুথি পরিচালিত সামরিক স্থাপনাগুলোতে সমাবেশ করছে হুথি যোদ্ধা ও হুতি উপজাতির সদস্যরা।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলে ১৪টি হুথি ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিলো। আর এগুলো ছিলো “এ অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জন্য সম্ভাব্য হুমকি।”

সেন্টকম-এর কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেছেন, “ইরান-সমর্থিত হুথি সন্ত্রাসীরা অব্যাহতভাবে দক্ষিণ লোহিত সাগর ও আশপাশের জলপথে আন্তর্জাতিক নাবিক ও বাণিজ্যিক জাহাজের চলাচলকে বিপন্ন করে তুলেছে।”

তিনি বলেন, “আমরা নিরীহ নাবিকদের জীবন রক্ষায় এবং আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত রাখবো।”

ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত অংশ থেকে, একবার ব্যবহারযোগ্য একটি ড্রোন, এডেন উপসাগরে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী, যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত জাহাজ এম/ভি জেনকো পিকার্ডিতে হামলা চালায়। এর কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী উল্লিখিত হামলা চলিয়েছে।

জাহাজটির পরিচালন প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, হামলায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আরো বলেছে যে জাহাজের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যৎসামান্য।

হুথিরা বলছে, তারা গাজায় হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধে, ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছে। দাবি করেছে, তারা লোহিত সাগরে ৩০টির বেশি হামলা চালিয়েছে।

হুথি হামলা শুরুর পর, প্রধান শিপিং কোম্পানিগুলো আফ্রিকা উপকূলের পাশ দিয়ে, দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল রুটে জাহাজ পরিচালনা করছে। লোহিত সাগর হলো, ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। এই জলপথে প্রায় ১৫ শতাংশ নৌযান চলাচল করে।

পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বুধবার দিনের শুরুতে সংবাদদাতাদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী হুথিদের সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।