ভারতের তিন পলাতক ধনকুবের ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরাতে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বিশেষ দল

ভারতের পলাতক ব্যবসায়ীরা বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদী।

ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা - ইডি, সিবিআই, এনআইএ। দেশের এই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির একাধিক আধিকারিক যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন। দেশ থেকে অর্থ, সম্পদ তছরুপ করে পলাতক ধনকুবেরদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা করতেই তাদের এই সফর।

নীরব মোদী, বিজয় মালিয়ার 'ফেরার' দীর্ঘদিন। ঋণখেলাপি এই পলাতক ব্যবসায়ীদের দেশে ফিরিয়ে আনতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন। এই তিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি হওয়া একটি বিশেষ দল যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে।

ব্যবসায়ী নীরব মোদী এবং বিজয় মালিয়ার পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীকেও দেশে ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে ইউপিএ জমানায় অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতা ইস্যুতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পলাতক এই তিন জনকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করার পাশাপাশি তাদের বিদেশে রাখা নামে-বেনামে কেনা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানাবে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বিপুল অর্থ তছরুপের অভিযোগে অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী। এই ব্যাঙ্কের ভারতীয় মুদ্রায় ৬ হাজার কোটিরও বেশি জালিয়াতি করে দেশ ছাড়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই তাকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সচেষ্ট হয় ভারত।

ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ভারতীয় মুদ্রায় ৯ হাজার কোটি আত্মসাৎ করে বিদেশে পালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত শিল্পপতি বিজয় মালিয়া। ২০১৬ সালে দেশ ছেড়েছেন 'লিকার ব্যারন' নামে পরিচিত এই ব্যবসায়ী।

অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারী ২০১৬ সালে ইডি এবং আয়কর দফতরের তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই দেশ ছাড়েন।