কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশে শীতের তুষারপাত নেই; অকাল গ্রীষ্মের সতর্কবার্তা আবহাওয়াবিদদের

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গ।

চলতি শীতের মরশুমে জলবায়ু পরিবর্তনে ভার‍তে শীতের প্রকোপ ছিল কম। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহের পর বিগত কয়েক দিনে জোরালো ঠাণ্ডা পড়েছে উত্তর ভারতেও। সোমবার ১৫ জানুয়ারি রাজধানী দিল্লিতে রেকর্ড সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছিল পারদ।

অন্যদিকে একেবারে বিপরীত চিত্র কাশ্মীর-হিমাচলে। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়েও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে বরফ পড়েনি। সাত বছর পর কাশ্মীরের গুলমার্গে তুষারপাত একেবারেই হয়নি।

অন্যান্য বছরগুলিতে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে কাশ্মীরে আবহাওয়ার কারণে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে বন্ধ হয়ে যায়। তবে এবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশেও একই পরিস্থিতি। সাধারণত বছরের এই সময়ে যে সব জায়গায় তুষারপাত হয়, সেখানেও বরফের 'খরা'।

গত শনিবার ১৩ জানুয়ারি কাশ্মীরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দিল্লির চেয়ে বেশি ছিল। আবার যখন দিল্লি সহ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সব রাজ্য ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে, তখন কাশ্মীরে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া।

একই পরিস্থিতি হিমাচল প্রদেশের সিমলা, মানালি সহ উত্তরাখন্ডের বহু জায়গায়। আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের মতে, জানুয়ারি মাসে এই পর্যায়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৪ বছর পর হয়েছে।

হিমাচল প্রদেশ, কাশ্মীর কিংবা উত্তরাখণ্ডে যে বরফ পড়ে, সেই বরফ ছোঁয়া হাওয়া উত্তর ভারত থেকে পূর্ব ভারতে এসে পৌঁছয়। যাকে উত্তুরে হাওয়া বলা হয়। এবছর সেই উত্তুরে হাওয়ার দেখা নেই।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন যদি আগামী কয়েক দিনে বরফ না পড়ে, তাহলে হয়তো ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই গ্রীষ্মের প্রভাব শুরু হতে পারে। আর যেহেতু 'এল নিনো' রয়েছে, তাই বসন্তেই গ্রীষ্ম চলে আসতে পারে।