মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ভারতীয় সময় বিকেলে মধ্য প্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্ক-এ মৃত্যু হল একটি চিতার। শৌর্য নামের এই চিতাটি বেশ কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিল। পার্কের তরফে চিতা মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে সংবাদসংস্থাকে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত, জাতীয় উদ্যানে সাতটি প্রাপ্তবয়স্ক চিতা এবং তিনটি শাবকের মৃত্যু হল। এর আগে গত বছর, ২০২৩-এর ২ অগাস্ট চিতা মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল কুনো ন্যাশনাল পার্ক-এ।
কুনো-তে এর আগের প্রতিটি চিতা মৃত্যুর ক্ষেত্রেই সংক্রমণকে দায়ী করা হয়েছিল। ঘন ঘন চিতা মৃত্যুর ঘটনায় সংরক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল ভারতের সংসদেও।
১৯৫২ সালে ভারতের জঙ্গলে চিতার বিলুপ্তির কথা ঘোষণা করা হয়। সাত দশকের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে বায়ুসেনার বিশেষ কার্গো কপ্টার 'চিনুক’-এ করে নামিবিয়া থেকে প্রথমে ৮টি চিতা আনা হয়। পরে আরও ১২টি চিতা আনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে।
২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদীর ৭২তম জন্মদিনের দিন কুনোর জাতীয় উদ্যানে ৮টি চিতা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। এদের মধ্যে তিনটি পুরুষ চিতা এবং পাঁচটি স্ত্রী চিতা ছিল। পরে তাদের তিনটি সন্তানও হয়।
ভারতের আবহাওয়ায়, নতুন পরিবেশের সঙ্গে নামিবিয়ার চিতার মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পরিবেশবিদরা।
এর আগে মৃত্যু হয়েছিল তিনটি শাবক এবং ৬টি চিতার। এবার আরও একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতার মৃত্যু হল। শৌর্যর মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে এবারেও সংক্রমণ না কি অন্য কোনও কারণে চিতা মৃত্যুর ঘটনা ঘটল কুনো জাতীয় উদ্যানে।