আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার রাম মন্দিরের। উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও সেই দিন অনুষ্ঠানে যাবেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি-ও জানিয়েছেন তিনি উপস্থিত থাকবেন না।
এরমধ্যে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউত তাদের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করলেন।
২২ জানুয়ারিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন মনে করে সেই প্রেক্ষিতে সঞ্জয় রাউত তার বক্তব্যে জানিয়েছেন, যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের অবশ্যই রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যা যাওয়া উচিত। এই মন্তব্য করে তিনি অবশ্য বিজেপি-র সমালোচনাও করেছেন।
তিনি বলেছেন, রাম সকলের। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির ব্যক্তিগত সম্পত্তি নন। তাই যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের তো অবশ্যই, বরং যাদের করা হয়নি তাদেরও সেদিন অযোধ্যায় যাওয়া উচিত। সঞ্জয় রাউতের প্রশ্ন, "ওরা (বিজেপি) এভাবে আমন্ত্রণ জানানোর কে? অযোধ্যায় কি বিজেপির পার্টি অফিস খোলা হয়েছে?"
গত সপ্তাহে কংগ্রেসের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, নেত্রী সনিয়া গান্ধী, লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ২২ তারিখের অযোধ্যার অনুষ্ঠানে যাবেন না। কংগ্রেস শিবিরের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানকে আরএসএস-বিজেপি ইভেন্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কংগ্রেসের দলীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, ধর্ম একটি ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আরএসএস এবং বিজেপি এই রাম মন্দির উদ্বোধনের বিষয়টিকে বহু আগে থেকেই রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে ফেলেছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তুলতে তারা রাম মন্দিরকে ব্যবহার করছে বলেই দাবি কংগ্রেসের।
শুধু ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধন নয়, তারপরেও অযোধ্যা নিয়ে দেশজুড়ে বড় ধরনের প্রচারের পরিকল্পনা করা হয়েছে বিজেপি শিবিরের তরফে। বিজেপির কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করবেন এবং সাধারণ মানুষকে সেখানে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদী ২২ জানুয়ারির পর ভোট প্রচারে রাজ্য সফর শুরু করবেন।