ঘন কুয়াশায় বিমান চলাচল বিপর্যস্ত দিল্লিতে, ডিজিসিএ জারি করলেন নির্দেশিকা

ঘন কুয়াশার কারণে গোটা ভারত জুড়ে বিমান চলাচল বিপর্যস্ত। প্রতীকী ছবি।

ঘন কুয়াশায় ভারত জুড়ে বিপর্যস্ত বিমান চলাচল। রবিবার ১৪ জানুয়ারি দিনভর রাজধানী দিল্লির বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ১০টি বিমান দিল্লিতে অবতরণ করতে না পেরে রাজস্থানের জয়পুরে ঘুরে গিয়েছিল। আবার বাতিলও হয়েছিল ২০টি বিমান।

এর জেরে ধৈর্য হারান যাত্রীদের একাংশ। এরপরই সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারি খারাপ আবহাওয়ার জন্য অত্যাধিক দেরিতে ফ্লাইট চলাচলের কারণে বিমান সংস্থাগুলিকে ডিজিসিএ বা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্মপদ্ধতির নির্দেশ (এসওপি) জারি করেন।

ডিজিসিএ, সিভিল অ্যাভিয়েশন রিকোয়ারমেন্ট (সিএআর) সেকশন ৩, সিরিজ এম পার্ট ৪ ইস্যু করেছেন।

এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে-

বোর্ডিং না করলে, ফ্লাইট বাতিল এবং ফ্লাইট দেরি হলে বিমান সংস্থাকে যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

একইসঙ্গে ডিজিসিএ সমস্ত বিমানসংস্থাকে ফ্লাইটের টিকিটের উপরে সিএআর-এর বিষয়টি পাবলিশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু টিকিটে ছাপানোই নয়, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নির্দেশটি পালন করাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বিমান সংস্থাগুলিকে তাদের বিমান ছাড়তে দেরি হওয়ার বিষয়ে একেবারে সঠিক তথ্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে হবে। যা যাত্রীদের এসএমএস কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমেলের মাধ্যমে যাত্রীদের জানাতে হবে।

ফ্লাইট বিলম্বের বিষয়ে সমস্ত তথ্য এয়ারপোর্টে ডিসপ্লে-তে থাকতে হবে।

এয়ারপোর্টের কর্মীরা যেন যাত্রীদের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে যোগাযোগ করেন এবং সমস্ত আপডেট তথ্য যাত্রীদের জানাতে হবে।

রানওয়েতে দৃশ্যমানতা ১২৫ মিটারের নীচে হলে কোনও বিমানকেই টেকঅফ-এর অনুমতি দেওয়া হয় না। রবিবার সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল দিল্লি এয়ারপোর্ট।

এদিন একের পর বিমানের ভিড় জমে যায়। বিমানে বসার পরও বহুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বহু যাত্রীকে।