গাজায় ইসরাইলের হামলা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪,১০০, বলছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

ইসরাইল ও ফিলিস্তিন জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধের মধ্যে বোমাবর্ষণের সময় গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের ওপর ধোঁয়া। ১৫ জানুয়ারি ২০২৪।

ইসরাইলের বাহিনী গাজা ভূখণ্ড জুড়ে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে। সোমবার গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গতকাল ইসরাইলের হামলায় ১৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী সোমবার বলেছে, তাদের অভিযানে গাজার উত্তরাঞ্চলে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়েছে। ইসরাইলের বিমান ও স্থল হামলায়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে অস্ত্র সংরক্ষণাগার ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনীর দাবি, নিহত জঙ্গিরা “অস্ত্রের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছিলো।”

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার তারা বলেছে, ইসরাইলের সেনা অভিযানে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ২৪ হাজার ১০০-তে পৌঁছেছে। আর আহত হয়েছে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতাহতদের গণনার ক্ষেত্রে যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না।

সোমবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনিং ওং গাজায় একটি “টেকসই যুদ্ধবিরতি” প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি হলেন, সংঘাত এবং মানবিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করতে, এই অঞ্চলে সফরে আসা সর্বশেষ কূটনীতিক।

এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত হামাসের বিরুদ্ধে তার দেশ যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বলে অঙ্গীকার করেছেন।

শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে, এমন অভিযোগের পরও ইসরাইল পিছপা হবে না।

তিনি গাজায় হামাস, লেবানন থেকে ইসরাইলের ওপর গুলি চালানো ইরান-সমর্থিত হেজবুল্লাহ জঙ্গি এবং হুথি মিলিশিয়াদের কথা উল্লেখ করে বলেন, “কেউ আমাদের থামাতে পারবে না, দ্য হেগ না, সংঘবদ্ধ অশুভ শক্তি না, কেউ না।” হুথি মিলিশিয়ারা হামাসের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের জন্য লোহিতসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে।

দ্য হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) দুই দিনের শুনানি শেষে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। আইসিজে-তে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছে। ইসরাইল এই অভিযোগকে মানহানিকর ও কপটতা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আইসিজে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায় প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইসিজে-র রায় সদস্য দেশগুলোর জন্য মানা বাধ্যতামূলক; তবে, রায় কার্যকর করা কঠিন।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।