বিজয় অর্জনের পূর্ব পর্যন্ত হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করলেন নেতানিয়াহু

হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে তেল আভিভে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন ইসরাইলি নাগরিকরা; ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪।

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান যুদ্ধের ১০০তম দিনের প্রাক্কালে, শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

হামাস ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ৭ অক্টোবর হামলা চালালে, এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। দিনটি ছিলো দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর দিন। এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে, ইসরাইলে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর, গাজা ভূখণ্ডে নিহত হয়েছেন ২৪ হাজারের বেশি মানুষ; যা গাজার মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের চেয়ে বেশি।

নেতানিয়াহু দৃঢ় কন্ঠে বলছেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে, এমন অভিযোগ সত্ত্বেও ইসরাইল পিছপা হবে না।

তিনি বলেন, “কেউ আমাদেরকে থামাতে পারবে না, হেগ, কোনো অশুভ শক্তি, কেউই নয়।” অশুভ শক্তি বলতে তিনি হামাস, ইরান সমর্থিত হেজবুল্লাহ বাহিনী ও হুথি বিদ্রোহীদের কথা উল্লেখ করেছেন।

হেজবুল্লাহ বাহিনী লেবানন থেকে ইসরাইলের ভূমিতে গোলা বর্ষণ করছে; আর, হুতি মিলিশিয়া বাহিনী, হামাসের সমর্থনে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।

হেগ শহরে, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) দুই দিনের শুনানি শেষে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্য দেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা এই আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছে। ইসরাইল এসব অভিযোগকে অপমানজনক ও কপটতা হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইসরাইল বলছে, এখন যুদ্ধ বন্ধ করলে তা হবে হামাসের বিজয়ের সমতুল্য। উল্লেখ্য, হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ আরো অনেক দেশ ও সংস্থা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। এই সংগঠনটি ২০০৭ থেকে গাজা শাসন করছে; আর, ইসরাইলকে ধ্বংসের জন্য তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আইসিজের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী রায় আসার কথা রয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলো রায় মেনে নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে, এই আদালতের রায় বাস্তবায়ন করা একটা জটিল বিষয়।

নেতানিয়াহু পরিষ্কার করে বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের যেকোনো নির্দেশকে উপেক্ষা করবে ইসরাইল।

জাতিসংঘে ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিনিধি মার্গারেট বশির এই প্রতিবেদন তৈরিতে কাজ করেছেন। কিছু তথ্য এপি ও এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।