ইয়েমেন ভিত্তিক হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে এখন পর্যন্ত তাদের বৃহত্তম বিমান হামলা শুরু করার পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন গাজা যুদ্ধের বিস্তার রোধে তার সর্ব সাম্প্রতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এর “পরিণাম” সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফার সাথে আলোচনার পর ব্লিংকেন বলেছেন, বাহরাইনসহ ২০টির বেশি দেশ লোহিত সাগরে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা এবং জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ লোহিত সাগরে জাহাজে হুথিদের হামলার নিন্দা করে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবের উপর ভোট আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে।
ইতোপূর্বে ব্লিংকেন বুধবার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে এক বৈঠকে প্রশাসনিক সংস্কার এবং গাজা ভূখণ্ডের মানুষদের জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি সংক্রান্ত আলোচনা করেন।
ব্লিংকেন ইসরাইলের নেতাদের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র নিয়ে পরিকল্পনা প্রদানের প্রস্তাব দেয়ার একদিন পরে এই আলোচনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি যুদ্ধোত্তর একটি রোডম্যাপের কথা ভেবেছে। এতে গাজাকে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বাধীন শাসনের অধীনে রাখা হয়েছে এবং এতে গাজার ওপর হামাসের কোনো ভূমিকার কথা বলা নেই।
কিন্তু কিছু বিশ্লেষক এ ব্যাপারে সন্দিহান এবং সম্ভাবনার ব্যাপারটি হালকা করে দেখার পক্ষপাতী।
মিডল ইস্ট ইন্সটিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো খালেদ এলগিন্দি মঙ্গলবার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কীভাবে গাজায় ফিরে যাবে এবং গাজার অবশিষ্ট অঞ্চলের কোন ধরনের অর্থপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেবে তা আমি বুঝতে পারছি না। এমনকি পশ্চিম তীরে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতেই তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।”
ব্লিংকেন দীর্ঘমেয়াদী এই সংঘাত সমাধানের উপায় হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ খোঁজার মাধ্যমে আরব প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ইসরাইলের গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়েছেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।