পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের উপর হামলা, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

শুক্রবার ৫ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের খোঁজে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র আধিকারিকেরা। সেখানে দলের সমর্থকদের আক্রমণে মাথা ফেটে যায় ইডি অফিসারদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও আক্রমণের মুখে তারা বাধা দিতে পারেননি।

এই হামলার কারণ জানতে চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার বিষয়ে মঙ্গলবার ৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস-এর সরকারের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গত ৫ জানুয়ারি শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিয়ানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি অফিসাররা। মাথা ফেটে যায় তিন জন অফিসারের। আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও।

এই ঘটনার পর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে ইডি-র তরফে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল, গ্রামবাসীরা তাদের অফিসারদের হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। এমনকী এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ এফআইআর-এর প্রতিলিপিও দেয়নি বলে সোমবার জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

ইডি-র তরফে প্রকাশিত প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ঘটনার দিন অর্থাৎ শুক্রবার ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে তল্লাশি অভিযানের বিষয়ে ই-মেইল মারফৎ সংশ্লিষ্ট বনগাঁ থানার পুলিশকে জানানো হয়েছিল। ভারতীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করেন তদন্তকারীরা। ইডি আধিকারিকদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চাওয়া হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ অনুপস্থিত ছিল।