যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার ইরাকী দাবির প্রতি ইরানের সমর্থন

সেনাবাহিনী দিবসে কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছে ইরাকের সেনারা। (বাগদাদ, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪)

ইরাক তাদের ভূখণ্ড থেকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জিহাদ বিরোধী মিত্রবাহিনী সরিয়ে নেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় বাগদাদে এক ইরানপন্থী কমান্ডার নিহত হওয়ার পর সোমবার ইরান ঐ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ইরাকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সম্প্রতি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্টভাবে ইরাক সরকার তাদের অবস্থান জানিয়েছে।”

কানানি বলেন, ইরান বিশ্বাস করে যে তাদের প্রতিবেশীর নিজেদের ভূখণ্ডের “নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা, শক্তিমত্তা ও কর্তৃত্ব রয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমরা বারবার ইরাকসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছি এবং ঘোষণা দিয়েছি যে (আঞ্চলিক) স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি, তা সে যেভাবেই হোক না কেন, কোনো ধরনের অবদান রাখবে না।”

সোমবার পেন্টাগন জানায়, আপাতত ইরাক থেকে তাদের প্রায় আড়াই হাজার সেনা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা নেই। যদিও, বাগদাদ গত সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছে, তারা দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মিত্রবাহিনীর সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে।

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) যখন বড় আকারে ভূখণ্ডের দখল নিচ্ছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বহুজাতিক মিত্রবাহিনী গঠন করা হয়, যার অংশ হিসেবে ইরাকে আড়াই হাজার ও সিরিয়ায় ৯০০ সেনা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। এই জোটের অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে আছে ফ্রান্স, স্পেন ও ব্রিটেন।

২০১৭ সালে আইএসের বিরুদ্ধে বিজয়ের ঘোষণা দেয় ইরাক। কিন্তু উত্তরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকে যায় কিছু জিহাদি সেল, যারা এখনো বিচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।