প্রয়াত হলেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের নক্ষত্র রশিদ খান। মঙ্গলবার ৯ জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার। হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শিল্পীর।
গত নভেম্বর মাস থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। রশিদ খানের প্রস্টেট ক্যানসার ধরা পড়েছিল। গত ডিসেম্বর মাসে তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
সেই সময় প্রায় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি। চিকিৎসকদের চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার ভারতীয় সময় ভোরে সঙ্গীতশিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয়।
মঙ্গলবার ভারতীয় সময় দুপুর ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালেই ৫৬ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রশিদ খান।
উস্তাদ রশিদ খানের জন্ম উত্তর প্রদেশের বাদাউনে। ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। সঙ্গীত পরিবারেই বেড়ে ওঠা রশিদের। দাদু উস্তাদ নিশার হুসেনের কাছে গান শেখা শুরু শৈশবে। খুব ছোটবেলাতেই কলকাতায় চলে আসেন তিনি।
সম্পর্কে উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাইপো ছিলেন রশিদ। পরে কাকার হাত ধরেই মুম্বইয়ে পাড়ি দেন তিনি। সেখানে গানের তালিম নেন তিনি। এরপর দাদু উস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছে গানের তালিম শুরু করেন। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ সম্মান পেয়েছেন তিনি।
ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহিব যে ঘরানার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী রশিদ খান৷ মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গাইলেও ফিউশন, হিন্দি সিনেমা ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমাতেও বহু জনপ্রিয় গানও গেয়েছেন শিল্পী।
'যব উই মেট', 'কিসনা', 'হাম দিল দে চুকে সনম', 'মাই নেম ইজ খান', 'রাজ ৩'-র মতো হিন্দি সিনেমার পাশাপাশি 'মিতিন মাসি', 'বাপি বাড়ি যা', 'কাদম্বরী'-র মতো বাংলা সিনেমাতেও রয়েছে তার গান।