প্রশ্ন-ঘুষ কাণ্ডে সংসদ সদস্য পদ খারিজ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্রর। তারপরই দিল্লিতে তার সংসদ সদস্য হিসাবে নির্দিষ্ট বাংলো খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এখনও মহুয়া মৈত্র সেই বাংলো খালি না করায় সোমবার ৮ জানুয়ারি কেন্দ্রের ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সংসদ সদস্যর কাছে উচ্ছেদ নোটিস পাঠাল।
মহুয়া মৈত্রকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লির বাংলো খালি করে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মহুয়ার দাবি ছিল, যেহেতু তার সংসদ সদস্য পদ খারিজ হওয়া নিয়ে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই অন্তত লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত বাংলোতে থাকতে দেওয়া হোক তাকে। এই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলাও করেছিলেন মহুয়া।
দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলার শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে আদালতের কিছু করার নেই। মহুয়া মৈত্র যদি চান কেন্দ্রের ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস-এর কাছে আবেদন করতে পারেন। দিল্লি হাইকোর্টের এই বক্তব্যের পর নিজের মামলা প্রত্যাহার করে নেন মহুয়া।
সোমবার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে কাজ করা ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস নোটিস পাঠাল তাকে। নোটিসে জানতে চাওয়া হয়েছে সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন বাংলো খালি করলেন না তিনি। তিন দিনের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে।
মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অর্থ ও দামি উপহারের বিনিময়ে ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানিকে লোকসভার ওয়েবসাইটের লগইন ক্রেডেনশিয়ালস দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। তার সংসদ সদস্য পদও খারিজ করে দেওয়া হয়।
তারপরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। এ বিষয়ে শীর্ষ আদালত লোকসভার সচিবালয়কে নোটিস পাঠিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে। যদিও তাকে লোকসভার অধিবেশন কিংবা অন্য কাজে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।