আফগানিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আইএস-এর হামলার নিন্দা করেছে জাতিসংঘ

আফগানিস্তানের মানচিত্র

জাতিসংঘ আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালিবানকে কাবুলে মারাত্মক মিনিবাস বোমা হামলার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। সংখ্যালঘু হাজারা-শিয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।

তালিবান পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানীর পশ্চিমাঞ্চলীয় দাশত-ই-বারচি এলাকায় শনিবারের হামলায় অন্তত ৫ জন যাত্রী নিহত এবং ১২ জনের বেশি যাত্রী আহত হয়েছে। পূর্বেকার বিবৃতিতে মৃতের সংখ্যা দুই বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএস-কে নামে পরিচিত ইসলামিক স্টেটের সহযোগী আঞ্চলিক একটি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, তারা শিয়া মুসলিম বহনকারী বাসে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সুন্নি-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনটি শিয়াদের কাফের বলে নিন্দা করে থাকে।

রবিবার আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন এক্স (পূর্ববর্তী নাম টুইটার)-এ বলেছে, “কাবুলের হাজারা সম্প্রদায়ের অন্তত ২৫ জন সদস্য দাশত-ই-বার্চিতে গত রাতের বিস্ফোরণে নিহত ও আহত হয়েছে।”

তালিবান কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ফলে গত বছর দেশব্যাপী আইএস-কে হামলা ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তারা বলেছে, এই গোষ্ঠীটি আফগানিস্তান বা এর বাইরে হুমকি হতে সক্ষম নয়।

গ্রুপটির ভিন্ন একটি সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কার্বি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, “আইএসআইএস-কে একটি কার্যকর সন্ত্রাসী হুমকি হিসেবে বিরাজ করছে। অবশ্যই তারা মূলত আফগানিস্তানের বাইরে অবস্থান করে। সেখানেই তাদের সদর দপ্তর রয়েছে।”

ইরানের কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কেরমানে ভয়াবহ হামলার পর বলেছে তারা জাতীয় নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য একটি “বিস্তৃত পরিকল্পনার” অংশ হিসেবে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সাথে দেশটির দীর্ঘ সীমান্তের “প্রবেশপথ” বন্ধ করে দিচ্ছে।

ইসলামাবাদ এবং কাবুল উভয়েই ইরানে বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছে, তবে তারা এখনো সন্ত্রাস সম্পর্কিত তেহরানের অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানায়নি।