ইরানের কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছে, ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমানে একজন নিহত সামরিক কমান্ডারের জন্য আয়োজিত স্মরণসভায় দুটি বোমা বিস্ফোরণের সাথে জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ২০২০ সালে ইরাকে আমেরিকান বাহিনীর হাতে নিহত সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় এই বিস্ফোরণ ঘটানো হলে প্রায় ৯০ জন নিহত হন।
বুধবারের এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী কেরমানে দুইজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে সহায়তা করার অভিযোগে দু’জনকে এবং ইরানের অন্যান্য অংশে অবস্থানরত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও নয়জনকে আটক করেছে।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেখা যায়, শুক্রবার নিহতদের দাফনের সময় শোকার্ত জনতা কাঁধে কফিন নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে 'প্রতিশোধ, প্রতিশোধ' বলে শ্লোগান দিচ্ছে ।
গাজায় হামাসের সাথে ইসরাইলের যুদ্ধের তৃতীয় মাসে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই এই হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে।
দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের এজেন্টরা হামলায় ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্রের হাজার হাজার গুলি জব্দ করেছে। আত্মঘাতী হামলাকারীদের মধ্যে একজন তাজিক নাগরিক বলে জানা গেছে।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) বৃহস্পতিবার জানায় , সোলাইমানির স্মৃতিসৌধে জড়ো হওয়া জনতার মধ্যে থাকা তাদের দুই সদস্যই বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছে।
কেরমানের ইমাম আলী ধর্মীয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জানাজায় বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, “আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন, আমরা খুঁজে বের করব।”
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেন, “আমাদের বাহিনী পদক্ষেপ নেবার যথাযথ স্থান ও সময় ঠিক করবে “
ইসলামিক স্টেট, ২০২২ সালে ইরানের একটি শিয়া মাজারে হামলার দায় স্বীকার করেছিল। সেখানে ১৫ জন নিহত হয়। এর আগে ২০১৭ও সালে ইরানের সংসদ এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির সমাধিতে দুটি বোমা হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল তারা ।