আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটাদের ভোট দেওয়া আহ্বান রেখে বিজ্ঞাপন চিত্র টিভিসি নির্মাণ করেছে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা হিসেবে তারা এই ধরণের টিভিসি তৈরি করতে পারে কিনা, সে নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছে।
কেউ বলছেন র্যাব এধরণের একটি জনসচেতনতামূলক টিভিসি বানাতেই পারে, আবার কেউ কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ভয়েস অফ আমেরিকা এনিয়ে কথা বলেছেন আইনজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্বদের সাথে। সে আলাপেই এ বিষয়ে তাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে আসে।
তবে, এই টিভিসির সম্পর্কে জানতে র্যাব-এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে একাধিকবার ফোন করে এবং এ বিষয়ে কথা বলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়েও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আইনজ্ঞরা বলছেন, সাংবিধানিক কোনও বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে তাদের এই ধরণের টিভিসি তৈরি করা একটি "অতি উৎসাহী" কাজ।
তাছাড়া দেশে এর আগে কোনও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এই ধরণের টিভিসি তৈরি করার নজির নেই।
কী আছে র্যাবের টিভিসিতে
গত ২৩ ডিসেম্বর র্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
সেখানে বলা হয়, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের প্রায় ১২ কোটি জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
এই নির্বাচনে দেড় কোটির বেশি তরুণ ভোটার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তরুণ প্রজন্মকে সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত করতে ‘তরুণ্যের প্রথম ভোট, দেশের অগ্রযাত্রা রাখুন অটুট’ শিরোনামে ৯৪ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপনচিত্র বা টিভিসি নির্মাণ করা হয়েছে।
র্যাব নির্মিত এই টিভিসি’টি ইতোমধ্যে দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে বহুলভাবে প্রচার করা হচ্ছে।
র্যাব-এর তৈরি ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের এই টিভিসির শুরুতে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলা'র সামনে দদাঁড়িয়ে এক তরুণী শিক্ষার্থী আরেক তরুণীর হাতে একটি চাবির ছড়া তুলে দিতে গেলে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কই যাচ্ছে। উত্তর আসে, বাড়িতে যাচ্ছে। পাল্টা প্রশ্ন, "ভোট দিতে?" "হ্যাঁ, আমারও তোর মতো প্রথম ভোট, যেতেই তো হবে।"
তারপরে একটি বাসার নাস্তার টেবিলে এক তরুণ একজন মহিলার উদ্দেশ্যে বলেন- "কয়েক দিনের জন্য বাড়িতে যাবো। জানুয়ারির ৭ তারিখ জাতীয় নির্বাচন, এবারই প্রথম ভোট দিবো।"
একইভাবে একজন গার্মেন্টস কর্মীকে অপরজনের উদ্দেশ্যে বলতে দেখা যায়, "বাড়িতে যাচ্ছি, জীবনের প্রথমবার ভোট দিবো।"
তখন অপরজন বলেন, "এতোদিন আব্বা-আম্মাকে দিতে দেখছি, এবার আমি নিজেই দিবো।"
এইভাবে টিভিসিতে অফিস, কারখানার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়ার ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন।
টিভিসিটির শেষ পর্যায়ে, জমিতে দাড়িয়ে একজন কৃষক মোবাইল ফোনে বলেন, "৭ তারিখে নির্বাচন, আগে ভোট, পরে কাম (কাজ)।"
পাশে দিয়ে চলে যাচ্ছে র্যাব-এর গাড়ি ও হেলিকপ্টার থেকে নামছে র্যাব সদস্যরা।
টিভিসিটি শেষ হয়, জাতীয় সংসদ এলাকায় দাড়িয়ে থাকা তিন তরুণের একটি ছবির পাশে ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট, দেশের অগ্রযাত্রা রাখুক অটুট’ ক্যাপশন পরে র্যাব এর মনোগ্রাম দিয়ে।
"এই রকম কিছু আমার জানা নেই"
টিভিসি তৈরি জন্য র্যাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে কিনা এবং অন্য কোনও সংস্থা এ ধরণের কোনো অনুমোদন চেয়েছিল কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব, আইন ও শৃঙ্খলা অনুবিভাগ) মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার ভয়েস অফ আমেরিকা বলেন, "এই রকম কিছু আমার জানা নেই।"
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে র্যাব এই রকম টিভিসি তৈরি করতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, "এটাতো মনে করার কিছু নেই। এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমার চোখেও এই রকম কোনও টিভিসি পড়ে নাই। আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম"।
আইন বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের আইন কিংবা সংবিধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটাদের আহ্বান জানিয়ে টিভিসি তৈরি করতে পারবে কি, পারবে না সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা নেই।
কিন্তু, নীতি-নৈতিকতার জায়গা থেকে কোনও সংস্থা সরাসরি ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে টিভিসি তৈরি "ঠিক যায় না।"
সংস্থাগুলোর আইনেও তা অনুমোদন করে না।
তাছাড়া দেশে এর আগে কোনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এই রকম টিভিসি তৈরির করার নজির নেই।
তবে, তারা চাইলে আইনশৃঙ্খলনা পরিস্থিতি ওপর টিভিসি করতে পারে।
র্যাবের তরুণদের ভোট দেওয়া আহ্বান জানিয়ে তৈরি টিভিসি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "দুনিয়ার সবকিছু আইনে বিধি-নিষেধে লিখে রাখা তো সম্ভব না। কিছু বিষয় আছে নীতি-নৈতিকতার। কিছু আছে আপনার আচারণ বিধি অনুমতি দেয় কিনা তার ওপর। তাছাড়া সেটা পুলিশ বা র্যাব যেই হোক, তাদের যে কাজের পরিধি, সেটার বাইরে গিয়ে অতি উৎসাহী হয়ে কিছু করার এখতিয়ার নেই।"
সত্যিকার অর্থে এই ধরণের টিভিসি বানানো পক্ষপাতিত্বমূলক মনে হতে পারে বলে উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, "এখানে একটা আরগুমেন্ট (যুক্তি) আসতে পারে যে, ভোট দেয়া তো নাগরিক অধিকার, এখানে পক্ষ নেয়ার ব্যাপার তো না। কিন্তু বর্তমান অবস্থাকেও বিবেচনা করতে হবে যে, কেন এই রকম টিভিসি বানানোর তারা প্রয়োজন বোধ করলো?"
তিনি আরও বলেন, উত্তরটা হচ্ছে এখানে, তাদের সন্দেহ হচ্ছে যে তরুণরা হয়তো ভোট দেবেন না। কারণ যার-যার ভোটাধিকার প্রয়োগ করা তো তাদের সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকারটা তো সবাই প্রয়োগ করতে চাইবে। সেটার জন্য তো আলাদা করে আহ্বান জানানোর কিছু নেই।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরও বলেন, "আমি যতটুকু পুলিশের আইন ১৯৪৩ কিংবা পুলিশ আইন ১৮৬১ জানি সে অনুযায়ী এই ধরণের কাজের কোনও সুযোগ নেই।"
সুপ্রীম কোর্টের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্শেদ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "বাংলাদেশের আইন কি বলে, এই প্রশ্নটা করার এখন তেমন অবকাশ নেই। কারণ আইন অনুযায়ী তো সবকিছু চলছে না। এখানে প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে সাংবিধানিক দায়-দায়িত্ব ছিলো, সেটির তো বাস্তবে অস্তিত্ব নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন করে এই ধরণের কাজগুলো করে। সেই হিসেবে তাদের অবস্থান থেকে যে টিভিসি বানিয়েছে, সেটা যদি দলের পক্ষে যায়, তাহলে তাদের দিক থেকে মনে করা হয়, তারা সঠিক আছেন।"
তিনি আরও বলেন, "...আমরা যারা দূর থেকে দেখি, যারা আইন ও সংবিধানের শাসনে বিশ্বাস করি, আমাদের কাছে খটকা লাগে। কিভাবে এটা করছে তারা? এটা সমীচীন নয় বলে আমাদের কাছে মনে হয়।"
সাংবাদিকরা কীভাবে দেখছেন
তরুণদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে র্যাবের তৈরি করার টিভিসি নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে মত দিয়েছেন বাংলাদেশের সাংবাদিকরা।
তারা কেউ বলছেন, জনগণের ট্যাক্সের বেতন গ্রহণ করেন, এমন কোনও সরকারী কর্মকর্তা ভোটারদের ভোটধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত করা কিংবা বর্জণের পক্ষে কাজ করতে পারেন না তারা।
ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "না পারে না । বাংলাদেশের মানুষ ও রাজনৈতিক শিবির যখন দুইভাগে বিভক্ত, একপক্ষ বলছে ভোট দিতে যান, আরেক পক্ষ আহ্বান জানিয়েছে ভোট বর্জন করুন। এই রকম একটা অবস্থায় যারা জনগণের ট্রাক্সের পয়সায় বেতন গ্রহণ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের যারা কর্মকর্তারা, তাদের বিদ্যমান রাজনৈতিক দুই শিবিরের কোনও পক্ষই অবলম্বন করা উচিত নয়। তাদের কর্তব্য হচ্ছে বিদ্যমান দুই রাজনৈতিক ক্যাম্পের দুই ভিন্ন মুখী অবস্থানের কারণে যদি কোনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, সেটা নিয়ন্ত্রণ করা। এবং আইনশৃঙ্খলা জারি রাখার চেষ্টা করা। ফলে, ভোট দিতে উৎসাহিত করা কিংবা নিরুৎসাহিত করা কোনটাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না বলে আমরা ধারণা।"
আবার কেউ বলছেন, নির্বাচন জাতীয় ঘটনা। সেখানে সুষ্ঠু ভোটের জন্য ভোটাদের ভোট দেওয়া জন্য উৎসাহ দিতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাতে দোষের কিছু নেই।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি ও টিভি টুডে‘র প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "নির্বাচন তো একটা জাতীয় ঘটনা। এখানে প্রধানমন্ত্রী, তিনি একটা দলেরও সভাপতি আবার প্রধানমন্ত্রীও। তিনি সবাইকে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য বলেছেন। আর সরকারের পদ্ধতি তো একটা ভালো নির্বাচনের জন্য। তারা (র্যাব) কোনো দলের পক্ষে না, কিন্তু একটা ভালো নির্বাচনের জন্য তো কাজ করবেই। কাজেই সরকারের সংস্থাগুলো যদি এসব করে তাতে কোনও সমস্যা দেখি না।"
তিনি আরও বলেন, "তারা (র্যাব) তো কোনও দলের না। তারা তো নির্বাচন বয়কটের পক্ষে কাজ করতে পারবে না। তাদের টিভিসি আমি দেখিছি। বলা হচ্ছে- নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে, ভোট শান্তিপূর্ণ হবে, আপনি ভোট দিতে যান। র্যাব, পুলিশের দায়িত্ব মানুষকে নিশ্চয়তা দেওয়া যে, দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আছে। সেই পরিবেশে আপনি ভোট দিতে আসেন। এই আহ্বান তারা জানাতে পারে এখানে খারাপ কিছু দেখি না আমি।"
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও র্যাব
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র্যাব ৭–এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), মাদক দ্রব্যের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত। এতে বলা হয়েছে যে, তারা আইনের শাসন, মানবাধিকারের মর্যাদা ও মৌলিক স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে ক্ষুণ্ন করে।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। র্যাব হচ্ছে ২০০৪ সালে গঠিত একটি সম্মিলিত টাস্ক ফোর্স। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধীদের কর্মকান্ড সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং সরকারের নির্দেশে তদন্ত পরিচালনা করা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বা এনজিওদের অভিযোগ হচ্ছে যে, র্যাব ও বাংলাদেশের অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ ব্যক্তির গুম হয়ে যাওয়া এবং ২০১৮ সাল থেকে বিচার বহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী। কোনো কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই সব ঘটনার শিকার হচ্ছে বিরোধী দলের সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা।