বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নির্বাচনী প্রতীক হচ্ছে নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙ্গল।
সংসদীয় পদ্ধতির নির্বাচনগুলোর ফলাফল ও ভোটের শতাংশের হিসেবে প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের জনপ্রিয়তা তৃতীয় স্থানে।
বারবার ভাঙনের কবলে পড়ে এক সময়ের প্রভাবশালী স্বৈরশাসক এরশাদের লাঙ্গলের বর্তমান অবস্থা খুবই শোচনীয়।
অন্যের সঙ্গে সমঝোতা ও সাহায্য নিয়ে নির্বাচনী মাঠে লড়তে হয় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীদের।
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জিএম কাদেরের নেতৃত্বধীন জাতীয় পার্টি। এই নির্বাচনে তাদেরকে ২৬ টি আসন ছাড় দেয় ক্ষমতাসীনরা।
লাঙ্গলের শুরু যেভাবে
নির্বাচন বিষয়ক গবেষক নেসার আমিনের লেখা ‘বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ও ফলাফল’ বই ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের তথ্য মতে, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের অবিভক্ত ভারতের ‘কৃষক প্রজা’ পার্টির নির্বাচনী প্রতীক ছিলো লাঙ্গল।
পরবর্তীতে পাকিস্তান আমলে আতাউর রহমানের ‘জাতীয় লীগ’ দলের নির্বাচনী প্রতীক ছিল লাঙ্গল।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতীয় লীগ লাঙ্গল প্রতীকে অংশ নেয়।
স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকের নির্বাচন অংশ নিয়ে বিজয়ী হয় আতাউর রহমান।
১৯৮৩-১৯৮৪ সালের শুরু দিকে সাত দলীয় জোটের অন্যতম শকির হিসেবে এরশাদ সরকারের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন আতাউর রহমান।
কিন্তু ১৯৮৪ সালের ৩০ মার্চ হঠাৎ করে স্বৈরশাসক এরশাদের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন (১৯৮৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত)। তখন তার কাছ থেকে লাঙ্গল প্রতীকটি জাতীয় পার্টির জন্য পছন্দ করেন এরশাদ।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু চেয়েছিলেন লাঙ্গল প্রতীক
১৯৯৬ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে বেরিয়ে যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
তখন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এরশাদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগে।
১৯৯৯ সালে টাঙ্গাইল-৮ আসনে উপনির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি উভয় দলের প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক চায়।
কিন্তু নির্বাচন কমিশন কাউকে এই প্রতীক দেয়নি।
এই নিয়ে এরশাদের প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দিকী ব্যারিস্টার রফিকুল হকের মাধ্যমে হাই কোর্টে যান। অন্যদিকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর রিট পিটিশন করে।
আদালত এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির যিনি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবে তার অনুকুলে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষমতা দেন।
পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলে সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "আমি ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনের পরে এরশাদ জাতীয় পার্টি থেকে বেরিয়ে যাই। ৯৯ সালে টাঙ্গাইল উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে আমার ও এরশাদ সাহেবের দ্বন্দ্ব লাগে। এর প্রেক্ষিতে এরশাদের দলের লোকরা হাইকোর্টে যান, তাদের অনুকুলে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। তখন আমি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে একটি রিট পিটিশন করি। কিন্তু আদালত আমার রিট পিটিশন গ্রহণ না করে বললো, আপনি নির্বাচন কমিশনে যান। ২০০১ সালের দিকে নির্বাচন কমিশন রায় দিলো যে, এরশাদের জাতীয় পার্টি বাংলায় জাপা। আর আমাকে জাতীয় পার্টি ইংরেজিতে দিলো (জেপি)।"
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন উচ্চ আদালতের আদেশ মেনে লাঙ্গল প্রতীক এরশাদ সাহেবকে বরাদ্দ দেন।
তখনকার নির্বাচন কমিশনারদের একজন ছিলেন ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি ভয়েস অফ আমেরিকা বলেন, "লাঙ্গল প্রথম থেকে জাতীয় পার্টির প্রতীক ছিলো। তখন এটা তাদেরকে আবার নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্য কোনও দল এই প্রতীক চায়নি। তবে, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে একটা মামলা হয়েছিলো আরও আগে। যখন জাতীয় পার্টি থেকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বেরিয়ে যায়। তিনি এই মামলা করেছিলেন। মামলায় রায়ে এরশাদ জয়ী হয়েছিলেন। তখন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নিববন্ধন বাধ্যতামূলক না থাকলেও এরশাদ লাঙ্গলকে তার দলের প্রতীক হিসেবে রেজিস্টার্ড করে নেয় নির্বাচন কমিশনে। কাজেই ২০০৮ সালে নিবন্ধনের সময়ে মূলত এরশাদকে পুনরায় এই প্রতীক দেওয়া হয়েছিলো।"
তখনকার প্রেক্ষাপটে বেশির ভাগ ভোটার ছিলেন গ্রামীণ
বিশ্লেষকরা বলছেন, তখনকার প্রেক্ষাপটে বেশির ভাগ ভোটার ছিলেন গ্রামীণ।
গ্রামের মানুষ চেনে এমন প্রতীকের প্রতি আকর্ষণ ছিলো রাজনৈতিক দলগুলোর।
গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে, এমন জিনিসকে প্রতীক নিতো তারা। নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙ্গল তারই প্রমাণ।
রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের আগে সব প্রতীকই উন্মুক্ত ছিলো। আইন ছিল আগে এলে আগে প্রতীক পাবে।
কিন্তু নির্বাচনে নামসর্বস্ব দলের অংশগ্রহণ ঠেকাতে এবং নির্বাচনী ব্যয় কমাতে ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলো সব সময় নিজেদের গণমানুষের দল হিসেবে পরিচিত করাতে চায় বলে উল্লেখ করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "ধানের সঙ্গে সাধারণ মানুষ জড়িত। এখনও গ্রাম-গঞ্জে খালে,নদীতে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে নৌকা চলে । লাঙ্গল কৃষকরা ব্যবহার করে। প্রতীকটা হচ্ছে মানুষকে পরিচিত করার জন্য। যারা লেখা পড়া জানে তারাও, আবার যারা লেখাপড়া জানে না তারাও। নৌকা, ধানের শীর্ষ ও লাঙ্গল দেখে মানুষ চিনতে পারতো। এখন আপনি যদি উড়োজাহান নেন, এটার সঙ্গে তো সাধারণ মানুষ যুক্ত হতে পারে না।"
নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙ্গল আমাদের দেশে বেশ নজর কাটা প্রতীক বলে- এমন মতামত দিয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "সাধারণ ভোটারদের বেশিরভাগ মানুষ গ্রাও-গ্রামের। একটা মনস্তাত্ত্বিক বিষয় আছে, তারা এইগুলোকে নিজেদের প্রতীক মনে করে। ভোট দিতে গেয়ে এইগুলো দিকে তাদের নজর বেশি যায়।"
সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রক্ষমতায় এরশাদ
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ‘ব্যর্থ’ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
সেই সময় জেনারেল এরশাদ সেনাপ্রধান ছিলেন।
জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের সরকারকে উৎখাত করে এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
একইসঙ্গে দেশে সামরিক শাসন জারি এবং নিজেকে প্রধান সামরিক শাসক হিসেবে ঘোষণা দেন।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এএফএম আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণ করে তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকেই জাতীয় পার্টি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়ার পর ১৯৯১ সালে এরশাদ গ্রেফতার হন।
জাতীয় পার্টির জন্ম
প্রয়াত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সামরিক শাসন’ বইয়ে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৪ সালে এরশাদ প্রথমে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘জাগদলের’ কায়দায় ‘জনদল’ নামে একটি রাজনৈতিক দলের গোড়াপত্তন করেন।
যত ক্ষুদ্রই হোক অন্যান্য দলকে জনদলের সঙ্গে যুক্ত করতে চেষ্টা চালাতে থাকেন তিনি।
১৯৮৫ সালের প্রথম দিকে এরশাদ দুটি প্রধান বিরোধী জোটে ভাঙন সৃষ্টিতে সক্ষম হন। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা কোরবান আলী ও বিএনপির সিনিয়র নেতা আবদুল হালিম চৌধুরীকে মন্ত্রিত্ব দেন এরশাদ।
১৫ দলীয় জোটের শরিক দল মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের খন্ডাংশ, ৫ জোটের শরিক ইউপিপি’র কাজী জাফর আহমেদ এবং সিরাজুল হোসেন খানের গণতন্ত্রী দল জোট ছেড়ে এরশাদের সঙ্গে যোগ দেন।
ইতোমধ্যে বিএনপির একটি অংশের নেতা শামসুল হুদা চৌধুরী ও ড. এম এ মতিন এবং আওয়ামী লীগের সাবেক চিফ হুইফ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এরশাদের সঙ্গে হাত মেলান।
তার বাইরে জিয়াউদ্দিন আহমেদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদের মতো বিএনপির কিছু নেতা, মুসলিম লীগের একাংশের নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, দলবিহীন বিশেষ ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও এরশাদের হাতকে শক্তিশালী করতে এগিয়ে আসেন।
ফলে, জনগণের মধ্যে এরশাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
১৯৮৫ সালের ১৬ আগস্ট এরশাদ তার জনদল, বিএনপির একাংশ, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি এবং মুসলিম লীগের সমন্বয়ে গঠন করেন জাতীয় ফ্রন্ট।
একপর্যায়ে কাজী জাফর স্বেচ্ছায় ইউপিপি ভেঙে দিয়ে এরশাদের দলে যোগ দেন।
শেষ পর্যন্ত ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি সরকারি রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
১৯৮৫ সালে মওদুদ আহমদও বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে এরশাদ সরকারের উপ রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।
তবে জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় পার্টি গঠনের ঘোষণা দেন এরশাদ।
১৯৮৬ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে এরশাদ পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানের মুখে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
জাপায় ভাঙন, ৪ ব্র্যাকেট বন্দী
১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠনের সময় জাতীয় পার্টি প্রথমে তাদের সমর্থন দিলেও পরে ১৯৯৯ সালে চারদলীয় জোটে চলে যান এরশাদ।
এরশাদের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জাতীয় পার্টি নামে নতুন দল গঠন করেন। যেটি এখন জাতীয় পার্টি (জেপি) নামে পরিচিত।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে এরশাদ বিএনপির নেতৃত্বধীন ৪ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে গেলেও সাবেক মন্ত্রী নাজিউর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে জোটে থেকে যায় জাতীয় পার্টির একটি অংশ।
পরবর্তীতে এ অংশের নাম হয় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)।
এরপর বিজেপি ভেঙে সাবেক মন্ত্রী এম এ মতিন করেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (এম এ মতিন)।
এরশাদের জীবদ্দশায় সর্বশেষ জাতীয় পার্টিতে ভেঙে বেরিয়ে যান তার পুরোনো রাজনৈতিক সহকর্মী কাজী জাফর আহমেদ।
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে কাজী জাফর আলাদা জাতীয় পার্টি গঠন করে যোগ দেন বিএনপি-জামায়াত জোটে।
এটি জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) নামে পরিচিত।
এদিকে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদের অনুসারীদের দলীয় মনোনয়ন দেয়নি দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
যার কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না রওশন এরশাদ ও ছেলে সাদ এরশাদ।
এই প্রসঙ্গে রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ ভয়েস অফ আমেরিকা বলেন, "আমরা এখন ৭ তারিখের নির্বাচনের ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টির যারা নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছে, তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। নির্বাচনের পরে আমরা নতুন উদ্যোগ নেবো।"
তাহলে কি নির্বাচনের জাতীয় পার্টিতে আবার ভাঙন ধরতে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম মসীহ বলেন, "যারা জিএম কাদেরের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো, তারা এখন ভুল বুঝতে পারছে। তারা এখন রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।"