ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার শুনানি করবে জাতিসংঘের আদালত

ফাইল: নেদারল্যান্ডস’এর দ্য হেইগে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত।

প্রিটোরিয়া তাদের কথায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করার পর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আগামি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরাইলের বক্তব্য শুনবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা চায় আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত যে অবিলম্বে গাজায় সামরিক তৎপরতা বন্ধ করে। এই বিষয়টি ইসরাইল ইতোপূর্বেই বিরক্তির সঙ্গে প্রত্যাখান করেছে।

গণহত্যার মামলা আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ আফ্রিকার সমালোচনা করেছে এবং গাজার সঙ্গে যুদ্ধে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দোষারোপকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বি এক সংবাদ ব্রিফিং’এ বলেন, “ এই মামলা নির্দয়, হিতে বিপরীত এবং এয কোন অর্থে ভিত্তিহীন”।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যথিউ মিলার আলাদা ভাবে বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়নে “ এই মূহুর্তে এমন কোন কাজ দেখিনি যাকে গণহত্যা বলা যায়”।

মিলার সংবাদদাতাদের বলেন , “ গণহত্যা নিঃসন্দেহই একটি ঘৃণ্য অত্যাচার । এই ধরেণর অভিযোগকে হাল্কা ভাবে নেয়া উচিৎ নয়”।

আদালত এক বিবৃতিতে বলেছে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত , “ দ্য হেইগের পীস প্যালেসে ১১ ও ১২ জানুয়ারি এই প্রকাশ্য শুনানির ব্যবস্থা করেছে ; মামলাটি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইসরাইল”।

দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনটি গত শুক্রবার দায়ের করা হয়। এই মামলাটির বিষয় হচ্ছে জেনসাইড কনভেনশনের অধীনে ইসরাইলের কথিত দায়িত্ব লংঘন । তারা বলছে, “ ইসরাইল গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যাজণিত কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়েছে , সম্পৃক্ত হচ্ছে এবং আরো বেশি করে সম্পৃক্ত হবার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।

ইসরাইল এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিওর হায়াত সামাইজক মাধ্যম এক্স’এ লিখেছেন, “ দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে রক্তপাতের অভিযোগ এনেছে ইসরাইল তা ঘৃণার সাথে প্রত্যখান করেছ”।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহ বলেন ইসরাইল গাজা যুদ্ধে, “ অতুলনীয় নীতিবোধ” প্রদর্শন করেছে। তিনিও দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগ প্রত্যখ্যন করেন।