ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডে গত ডিসেম্বরে তৃণমূল কংগ্রেস-এর সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। লোকসভার সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস-এর প্রাক্তন সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র।
এই ঘটনায় বুধবার ৩ জানুয়ারি লোকসভার সচিবালয়কে নোটিস পাঠাল দেশের শীর্ষ আদালত। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনায় একটি রিপোর্ট পেশ করার জন্য লোকসভার সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও মহুয়া মৈত্রকে লোকসভার অধিবেশন কিংবা অন্য কাজে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অর্থ ও দামি উপহারের বিনিময়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানিকে লোকসভার ওয়েবসাইটের লগ ইন ক্রেডেনশিয়ালস দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি।
তার সংসদ সদস্য পদও খারিজ করে দেওয়া হয়। তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র।
মহুয়া মৈত্র শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় এথিক্স কমিটির তাকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা নেই এবং হীরানন্দানির কাছ থেকে তার ঘুষ নেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। তিনি আরও জানান, এথিক্স কমিটি তাকে হীরানন্দানি এবং তার প্রাক্তন বন্ধু আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদরাইকে জেরা করার অনুমতি দেয়নি, যিনি আসলে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন।
এর মধ্যেই নতুন করে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তার প্রাক্তন বন্ধু আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদরাই। এই একই অভিযোগ তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছেও।
এবার সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণ সুদের কাছে চিঠি লিখে জয় অনন্ত দেহাদরাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে তার ফোনে বেআইনিভাবে আড়িপাতা হতে পারে বা নজরদারি চালানো হতে পারে। তার গাড়ি ফলো করা হচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জয় অনন্ত দেহাদরাই।