কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইনের প্রতিবাদে ভারত জুড়ে তিন দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন সারা দেশের ট্রাক চালকরা। সেই ধর্মঘট শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নিলেন তারা।
মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকালে এই ঘোষণা করা হলেও, মঙ্গলবার ভারতীয় সময় রাত্রে ট্রাক চালকদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (এআইএমটিসি)-এর
তরফে জানানো হয়, এই সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠকের পরই আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
প্রাথমিকভাবে ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। কেন্দ্র সরকার পদক্ষেপ না নিলে ধর্মঘট লাগাতার করা হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছিল অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস (এআইএমটিসি)। যার ফলে শুধু পেট্রল বা ডিজেল নয়, দেশজুড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যেরও দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
মঙ্গলবার ভারতীয় সময় রাত্রে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে ট্রাক চালকদের সংগঠনের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পরই লাগাতার ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ট্রাক মালিকরা। 'হিট অ্যান্ড রান' আইনে নতুন দণ্ডবিধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়ে দেয় ট্রাকার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, দশ বছরের (হিট অ্যান্ড রান-এর ক্ষেত্রে) সাজা দেওয়ার আইন নিয়ে অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস-এর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এই আইনটি এখনও কার্যকর করা হয়নি। এআইএমটিসি-এর সঙ্গে আলোচনা করার পরই এটি প্রয়োগ করা হবে।
দশ বছরের শাস্তি এবং জরিমানার ‘হিট অ্যান্ড রান’ নতুন আইন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্থগিত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস-এর সভাপতি অমৃত লাল মদন।
‘হিট অ্যান্ড রান’ আইনে আগে ২ বছরের সাজা হত। নতুন আইনে তা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। একই সঙ্গে জরিমানার অঙ্ক বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।
এরই প্রতিবাদে সারা ভারতের ট্রাক চালকরা মঙ্গলবার থেকে টানা ৩ দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। এমনকী আন্দোলনকারীদের ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন বাস চালকদের একাংশও। বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলনে অংশ নেন অটো চালকরাও।
তবে অবশেষে মঙ্গলবার রাত্রে ধর্মঘট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ট্রাক চালকরা।