দু'বছরে পুরনো, বাতিল 'স্ক্র‍্যাপ' বিক্রি করে দুই চন্দ্রাভিযানের খরচের থেকে বেশি আয় করল ভারত সরকার

দু'বছরে পুরনো, বাতিল 'স্ক্র‍্যাপ' বিক্রি করে দুই চন্দ্রাভিযানের খরচের থেকে বেশি আয় করল ভারত সরকার।

ভারতের কেন্দ্র সরকারের এক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সরকারি অফিসের পুরনো কাগজপত্র, বাতিল জিনিস ইত্যাদি বিক্রি করে যা আয় হয়েছে তা ভারতের দুই চন্দ্রযান অভিযানের খরচের সমান।

চলতি বছরেই ভারতের সফল তৃতীয় চন্দ্রযান মিশনের খরচ হয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৬০০ কোটি। সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে এর আগের চন্দ্রাভিযান দুই ও সাম্প্রতিক চন্দ্রাভিযান তিন মিলিয়ে কেন্দ্রের যা খরচ হয়েছে তার থেকেও বেশি আয় হয়েছে সরকারি অফিসের পুরনো কাগজপত্র, বাতিল জিনিস বিক্রি করে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে পুরনো কাগজপত্র, নথিপত্র, ফাইল, পুরনো যন্ত্রপাতি, ফার্নিচার ইত্যাদি ‘স্ক্র্যাপ’ বিক্রি করে ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক প্রায় ১,১৬৩ কোটি আয় হয়েছে কেন্দ্র সরকারের।

কেন্দ্র সরকার এখন ই-ফাইলের উপর বেশি জোর দিচ্ছে। অর্থাৎ, সব কিছুরই ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। তাই কাগজের ফাইলের প্রয়োজন ফুরিয়েছে।

সরকারি সূত্র অনুযায়ী, গত দু'বছরে প্রায় ৯৬ লক্ষ কাগজের ফাইল জমেছিল। এই বাতিল ফাইলগুলি বিক্রি করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি অফিসগুলিতেও প্রায় ৩৫৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গা খালি হয়েছে।

একদিকে এই ফাইলগুলি বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে অর্থ এসেছে, আবার সরকারি অফিসের এই ফাঁকা হওয়া জায়গাগুলি অন্যান্য কাজে লাগানো গিয়েছে।

চলতি বছরে প্রায় ২৪ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। এই বছরেই বাতিল কাগজ বিক্রি করে আয় হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৫৫৬ কোটি টাকা। শুধু রেলওয়ে মন্ত্রকই ভাঙাচোরা 'স্ক্র‍্যাপ' বিক্রি করে ভারতীয় মুদ্রায় ২২৫ কোটি রোজগার করেছে।

কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভাঙাচোরা 'স্ক্র‍্যাপ' বিক্রি করে ভারতীয় মুদ্রায় ১৬৮ কোটি আয় করেছে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক একইভাবে আয় করেছে ভারতীয় মুদ্রায় ৫৬ কোটি। কয়লা মন্ত্রক এই উপায়ে আয় করেছে ভারতীয় মুদ্রায় ৩৪ কোটি। তাছাড়া কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রকগুলি থেকেও একই পদ্ধতিতে পুরনো বাতিল জিনিস বিক্রি করে ভারতীয় মুদ্রায় কয়েক কোটি আয় হয়েছে।