ভারতে স্বাস্থ্যবিমার গ্রাহকদের সুবিধা দিতে বড় বদল আনছে কেন্দ্রীয় বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা

প্রতীকী ছবি।

মেডিক্লেইম গ্রাহকদের সুবিধার্থে বড় পরিবর্তন আনছে ভারতের বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা আইআরডিএ।

এর অন্যতম কারণ কোভিডকালের পর অনেক গ্রাহকই নতুন করে মেডিক্লেইম-এর আওতায় আসতে চাইছেন। কিন্তু কিছু নিয়মের কারণে গ্রাহকদের একাংশ নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই সমস্যাগুলির সমাধানেই এই পরিবর্তন আনছে আইআরডিএ।

এবার থেকে মেডিক্লেইম বা স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে বয়সের যে ঊর্ধ্বসীমা ছিল, তা আর থাকবে না । একই সঙ্গে এখন থেকে মিলবে ডে-কেয়ারের সুবিধাও।

আইআরডিএ-র নিয়ম অনুযায়ী এতদিন ৬৫ বছর বয়সের পর নতুন করে আর স্বাস্থ্য বিমা করানো যেত না। এক্ষেত্রে সুবিধা নিতে হলে গ্রাহককে বাড়তি টাকা দিতে হত। এবার বয়সের এই উর্ধ্বসীমা থাকছে না। ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত যে কেউ এই স্বাস্থ্যবিমা কেনার সুযোগ পাবেন।

এ ব্যাপারে আগামী বছরের শুরুতে বিমা সংস্থাগুলির সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবে আইআরডিএ। সেখানে বিমা সংক্রান্ত আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এখন থেকে নির্দিষ্ট কয়েকটি অসুখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে মেডিক্লেইম-এর সময়সীমা ৩ বছর থেকে কমিয়ে ১ বা ২ বছর করা হতে পারে। একই সঙ্গে এবার থেকে ডে-কেয়ারেও ক্লেইম-এর সুবিধাও চালু হতে চলেছে।

এতদিন হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পরও রোগীকে সংশ্লিষ্ট দিনটি হাসপাতালেই কাটাতে হত। কারণ, ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে না থাকলে বিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হত গ্রাহককে। এবার থেকে ওই বাধ্যবাধকতা আর থাকছে না। চিকিৎসক যদি মনে করেন, সেক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের দিনই রোগীকে ছুটি দিতে পারেন।

আইআরডিএ সূত্রের খবর, অনেক সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীদের জন্য হাসপাতালে বেড পাওয়া যায় না। অথচ দেখা গিয়েছে, একই সময়ে মেডিক্লেইম-এর জন্য হাসপাতালের একটি বা দুটি বেডে রয়েছেন রোগীরা। এক্ষেত্রে নতুন নিয়মের ফলে হাসপাতালের বেড দখল করে থাকার প্রয়োজন আর থাকবে না।

আইআরডিএ সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে ভারতের মাত্র ২৭ শতাংশ নাগরিক স্বাস্থ্যবিমার আওতায় রয়েছেন। অন্যদিকে প্রবীণদের মাত্র ১৬ শতাংশ স্বাস্থ্যবিমার আওতায় রয়েছেন। আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনতেই এই সরলীকরণ করা হচ্ছে।