আগামী বছর (২০২৪) ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে আগে 'ভারত ন্যায় যাত্রা' নামে এক কর্মসূচি নিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের আট দিন আগে শুরু হবে রাহুল গান্ধীর 'ন্যায় যাত্রা'। এ বার উত্তর-পূর্বের মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বাই পর্যন্ত হাঁটবেন তিনি।
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার ‘দ্বিতীয় অধ্যায়'। ২০ মার্চ পর্যন্ত চলবে ভারত জোড়ো যাত্রা ২০২৪-এর ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ।
ভারত জোড়ো যাত্রারই দ্বিতীয় পর্যায় 'ভারত ন্যায় যাত্রা'। জনজাতি দাঙ্গা বিধ্বস্ত মণিপুর থেকেই শুরু হবে ভারত ন্যায় যাত্রা। মহারাষ্ট্রে শেষ হবে এই কর্মসূচি।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, গতবার যেমন দক্ষিণ থেকে উত্তর ভারতকে জুড়েছিল রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা, এবার তা পূর্ব থেকে পশ্চিম ভারতকে জুড়বে। যাত্রাপথে মোট ১৪টি রাজ্যের মাটি ছোঁবে রাহুলের 'ভারত ন্যায় যাত্রা'।
'ভারত ন্যায় যাত্রা'-এ ১৪টি রাজ্যের ৮৫টি জেলার মধ্যে দিয়ে ৬২০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ হাঁটবেন রাহুল গান্ধী। মণিপুর থেকে যাত্রা শুরু হয়ে নাগাল্যান্ড, আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তীসগড়, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট যাবে 'ভারত ন্যায় যাত্রা'। লোকসভা নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে শেষ হবে এই যাত্রা।
মণিপুর থেকে ১৪ জানুয়ারি এই যাত্রার সূচনা করবেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। শুধু পায়ে হেঁটে নয়, 'ভারত ন্যায় যাত্রা'-এ বাসও থাকবে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে এবার কংগ্রেসের জনসংযোগ যাত্রায় অংশ নিতে পারেন, তার জন্যই বাসের ব্যবস্থা করা হবে।
'ভারত জোড়ো যাত্রা'-র প্রথম অধ্যায় মোট ৪ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ১৫০ দিন যাত্রা করেছিলেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন সেই যাত্রা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে শেষ হয় ।