গাজার জন্য মানবিক ত্রাণ সমন্বয়ক নিযুক্ত করলো জাতিসংঘ

গাজা ভূখন্ডের রাফাহতে ফিলিস্তিনিরা বিনা মূল্যে খাবার জন্য ভিড় করছেন । ডিসেম্বর ২১,২০২৩।

মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়ে শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব অনুমোদিত হয় তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার জাতিসংঘ, গাজায় মানবিক ত্রাণ সামগ্রী চালানের তদরকির জন্য একজন সমন্বয়ক নিযুক্তির ঘোষণা দিয়েছে।

নেদারল্যান্ডস’এর সিগরিড কাগকে গাজায় মানবিক ও পূনর্নির্মাণ বিষয়ক ঊর্ধ্বতন সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তিনি ৮ জানুয়ারি থেকে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।

জাতিসংঘ বলেছে, “ তাঁর এই ভূমিকায় তিনি গাজার জন্য মানবিক ত্রাণের চালানের সুবিধা প্রদান করবেন, সমন্বয় সাধন , নজরদারি এবং ‘এর যথার্থতা নিশ্চিত করবেন। যে সব দেশ এই সংঘাতে জড়িত নয় তিনি তাদের মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ পাঠানো তরান্বিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার ১১ সপ্তাহব্যাপী এই যুদ্ধে গাজায় ক্রমবর্ধমান নিহতদের সংখ্যা এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলে মানবিক সংকট নিয়ে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল অস্ত্র বিরতির বিরোধীতা করছে এ কথা মনে করে যে যুদ্ধবিরতি হলে কেবল হামাসেরই সুবিধা হবে। তার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র অসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা ও হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করানোর জন্য লড়াইয়ে সাময়িক বিরতিকে সমর্থন করছে। ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে আক্রমণ চালিয়ে ১২০০ লোককে হত্যা করে এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

হামাসের হামলার জবাবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতেনিয়াহু পাল্টা আক্রমণ চালান যার ফলে হামাস শাসিত গাজার বেশির ভাগ এলাকাই বিধ্বস্ত ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

হামাস শাসিত গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে ইসরাইলের আক্রমণে প্রায় ২১,০০০ লোক নিহত হয়েছে । আশংকা করা হচ্ছে আরও বেশি লোক ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে। গাজার মোট জনসংখ্যা ২৩ লক্ষ লোকের প্রায় সকলকেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয় , অনেককে বহুবার গৃহত্যাগ করতে হয়।