ভারতঃ সাম্প্রতিক হামলার পর আরব সাগরে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে নৌবাহিনী

২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর তোলা এই ছবিতে নাবিকরা মুম্বাইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে নৌবাহিনীর গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার আইএনএস ইম্ফলের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩।

ভারতের নৌসেনা বলেছে, সাম্প্রতিককালে কয়েক দফা জাহাজ হামলার পর “প্রতিরোধকারী উপস্থিতি বজায় রাখতে” আরব সাগরে তারা তিনটি যুদ্ধজাহাজ এবং নজরদারি বিমান মোতায়েন করছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, "আরব সাগরে সাম্প্রতিক হামলার কারণে তিনটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ারের পাশাপাশি পি এইট আই নামের দূরপাল্লার নজরদারি বিমান মোতায়েন করা হয়েছে।"

শনিবার ভারতের উপকূল থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে এমভি চেম প্লুটো ট্যাংকারে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য ওয়াশিংটন তেহরানকে অভিযুক্ত করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে “অর্থহীন” বলে দাবি করেছে।

তেহরান সমর্থিত ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হবার পর এবারই প্রথম ওয়াশিংটন প্রকাশ্যে ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করে আক্রমণ করার অভিযোগ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এবং জাপানের মালিকানাধীন এমভি চেম প্লুটো সোমবার ভারতের মুম্বাই বন্দর ছেড়ে যায়।

অন্যদিকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। গাজায় ইসরাইল হামাস জঙ্গিদের সাথে লড়াই করছে।

ইসরাইলের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপির দেয়া তথ্যানুযায়ী, ৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলের ওপর নজিরবিহীন আক্রমণ চালানোর ফলে যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল। এ সময় প্রায় ১,১৪০ জন মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগ ছিল বেসামরিক জনতা। ইসরাইল বলেছে, হামাস প্রায় ২৫০ জন জিম্মিকে আটক করে।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের অভিযানে অন্তত ২০ হাজার ৬৭৪ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।