ইসরাইল হামাস: আরব সাগরের ভারতীয় উপকূলে মোতায়েন তিনটি যুদ্ধজাহাজ, একটি নজরদারি জাহাজ

আরব সাগরের ভারতীয় উপকূলে নজরদারি বাড়াচ্ছে ভারত।

ভারত নজরদারি বাড়াচ্ছে আরব সাগরের ভারতীয় উপকূলে। ইতিমধ্যেই তিনটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি নজরদারি জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে আরব সাগরে।

আরব সাগরের ভারতীয় উপকূলে এখন থেকে পাহারা দেবে আইএনএস মরমুগাও, আইএনএস কোচি এবং আইএনএস কলকাতা।

ভারতীয় নৌসেনা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তিনটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি নজরদারি জাহাজ পুরো এলাকার তদারকি করছে। পরপর দু'টি বাণিজ্যিক জাহাজে আক্রমণের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নৌবাহিনীর তরফ থেকে।

গত শনিবার ২৩ ডিসেম্বর লাইবেরিয়ার পতাকা লাগানো 'এমভি চিম প্লুটো' নামের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালানো হয়।

গুজরাত উপকূলের কাছেই ভারত মহাসাগরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলা হয় শনিবার। মাঝ সমুদ্রেই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে ইসরাইল-এর এই জাহাজটি। রাসায়নিক ট্যাঙ্কার ছিল জাহাজটিতে।

সৌদি আরব থেকে তেল নিয়ে সেটি ভারতের দিকেই আসছিল। জাহাজটিতে ক্রু-সহ ২০ জন ভারতীয় ছিলেন। যদিও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ব্রিটিশ সেনার ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন জানিয়েছিল, বাণিজ্যিক এই জাহাজটিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

এটি পরিকল্পিত হামলা বলেই জানা যায়। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও জাহাজের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন আরও জানায়, গুজরাটের ভেরাভাল উপকূল থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এই ড্রোন হামলা হয়। ড্রোন হামলার জেরে তীব্র বিস্ফোরণ হয় জহাজের ডেকে।

এই আবহে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌবাহিনী বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে। শুরু হয় তদন্ত।

তদন্তে মনে করা হচ্ছে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা এই হামলা চালাতে পারে। এর আগে লোহিত সাগরে ইরানের সশস্ত্র হুথি গোষ্ঠী কিছু জাহাজে হামলা চালায়।

ইয়েমেন-এর সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে তারা হামাসের পক্ষে। সবসময়েই তারা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করবে। গাজায় ইসরাইল-এর আগ্রাসনের বিরোধিতা করতেই তারা ইসরাইল-এর যে কোনও জাহাজেই হামলা চালাবে।

এহেন পরিস্থিতিতে এই গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক জলপথে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ আছে এমন যে কোনও জাহাজের উপরেই যেকোনও সময় হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। ওয়াশিংটন এই ব্যাপারে সতর্কবার্তাও দিয়েছে। তাই ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার।

যদিও ইরানের তরফে এই হামলার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তবুও আরব সাগরে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল ভারত।