বড়দিনে পোপের বার্তাঃ গাজায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যু রোধের আহ্বান

পোপ ফ্রান্সিস ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে তার ভবনের জানালা থেকে প্রার্থনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩।

পোপ ফ্রান্সিস সোমবার তার বড়দিনের বার্তায় বলেছেন, গাজাসহ যুদ্ধে নিহত শিশুরা "আজকের ছোট্ট যিশু"। তিনি আরও বলেন, গাজায় ইসরাইলি হামলা নিরীহ নাগরিকদের জন্য "ভয়াবহ ফল" বয়ে আনছে।

৮৭ বছর বয়সী ফ্রান্সিস, পোপ হিসাবে তার ১১তম বড়দিন উদযাপনের সময় ইউক্রেন, সিরিয়া, ইয়েমেন, লেবানন, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানসহ বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক বা সামরিক দ্বন্দ্ব অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্ব জুড়ে অভিবাসীদের অধিকার রক্ষার পক্ষেও কথা বলেন।

তিনি বলেন, “কত নিরাপরাধকে আমাদের পৃথিবীতে হত্যা করা হচ্ছে! তাদের মায়ের গর্ভে, নিরাশা থেকে আশার সন্ধানে যাত্রাপথে, সেইসব শিশু যাদের শৈশব যুদ্ধে বিধ্বস্ত। তারাই হলো আজকের ছোট্ট যিশু।”

ফ্রান্সিস বলেন, "ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনে [শান্তি] নেমে আসুক, যেখানে যুদ্ধ মানুষের জীবন ধ্বংস করছে। আমি তাদের সবাইকে, বিশেষ করে গাজার খ্রিস্টান সম্প্রদায় এবং সমগ্র পবিত্র ভূমিকে আলিঙ্গন করি।"

২০১৩ সালের ১৩ মার্চ তার পোপ নির্বাচিত হওয়ার রাতে যে স্থান থেকে তিনি প্রথম বিশ্বের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন সেই একই বারান্দা থেকে তিনি শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “৭ অক্টোবরের নৃশংস হামলার শিকারদের জন্য তার হৃদয় শোকাহত”। তিনি পুনর্বার জিম্মিদের মুক্তির আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “আমি ভয়াবহ হামলার শিকার হওয়া নিরাপরাধ বেসামরিক মানুষদের কথা মনে রেখে সামরিক অভিযানের সমাপ্তির জন্য অনুরোধ করছি এবং চরম মানবিক পরিস্থিতি সমাধানের জন্য মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ উভয়ের সাথেই ভ্যাটিকানের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ভ্যাটিকান মনে করে, এই দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের একমাত্র উত্তর হলো দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান।

ফ্রান্সিস বিবদমান "পক্ষগুলোর মধ্যে দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন দ্বারা কার্যকর সংলাপের" আহ্বান জানিয়েছেন।