ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার ঘটনায় ইরান ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ ঘটনার গুরুত্বকে বাড়িয়ে তুলেছে এবং ওয়াশিংটন সম্ভাব্য শক্তি প্রয়োগসহ, আরও কড়া পদক্ষেপ নেয়ার কথা
ইরান-সংশ্লিষ্ট ইয়েমেনি বিদ্রোহীরা জাহাজে হামলা চালিয়ে যাওয়ায় হোয়াইট হাউস প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গাজা ভূখন্ডের ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা যায়।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তেহরান হুথিদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি কৌশলগত গোয়েন্দা তথ্যও সরবরাহ করেছে।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, “আমরা নিশ্চিত, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনায় ইরান ওতপ্রোতভাবেই জড়িত ছিল।”
পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, ১০ টি বানিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্য করে হুথিরা ১০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে বড় আকারে বিঘ্ন দেখা দেওয়াতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টিরও বেশি দেশ লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলরত জাহাজের সুরক্ষা দিতে একটি বহুজাতিক নৌবাহিনী গঠন করার ঘোষণা দিয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরানের কেএএস-০৪ ড্রোন এবং হুথিদের ক্ষেপনাস্ত্রগুলোর বৈশিষ্ট্য প্রায় একই রকম। তারা আরও বলেছে, ইরানের নজরদারি ব্যবস্থার উপর হুথিরা নির্ভরশীল।
তবে তারা ইরানের নির্দেশে কাজ করছে কিনা এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের কথার উপর পুরোপুরি ভরসা করতে পারছেন না যুক্তরাষ্ট্রের ও তাদের মিত্রস্থানীয় নীতিনির্ধারকদের কিছু অংশ।
এই অঞ্চল পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র একজন কূটনীতিক উল্লেখ করেছেন, ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা লেবাননের হিজবুল্লাহ পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নৌ শক্তি প্রদর্শনসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সতর্কতার মুখে তুলনামূলকভাবে সংযত হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কূটনীতিক বলেন, এই অঞ্চলে ইরানের প্রক্সিদের মধ্যে হুথিদের সাথে তেহরানের সবচেয়ে দুর্বল সম্পর্ক রয়েছে। আর এই হামলা কীভাবে তাদের বা ইরানের স্বার্থ রক্ষা করবে এটা বোঝা মুশকিল।"