গাজা: ইরানের ভূমধ্যসাগর 'বন্ধ' করে দেয়ার হুমকি 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে নিয়োজিত আমেরিকান বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোরড পরিদর্শন করেন।

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এক কমান্ডার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা গাজায় 'অপরাধ' চালিয়ে গেলে ভূমধ্যসাগর বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শনিবার ইরানের গণমাধ্যমের খবরে একথা বলা হয়, যদিও এটা কীভাবে ঘটতে পারে, তার ব্যাখ্যা দেয়া হয় নি।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরান হামাসকে সমর্থন করে। তারা অভিযোগ করে যে গাজায়, তাদের ভাষায়, ইসরাইলের অপরাধকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করছে। কয়েক সপ্তাহের বোমা বর্ষণে গাজায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, এবং বেশিরভাগ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বিতারিত হয়েছে।

"তারা শীঘ্রই ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালী এবং অন্যান্য জলপথ বন্ধের সম্ভাবনা দেখবেন,’’গার্ড সমন্বয়কারী কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাকদিরকে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসনিম জানায়।

গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী গত এক মাসে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলিতে হামলা চালিয়ে আসছে। এর ফলে কিছু সংখ্যাক শিপিং কোম্পানী তাদের যাত্রার পথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।

শুক্রবার হোয়াইট হাউস বলেছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পরিকল্পনায় ইরান 'ওতপ্রোতভাবে জড়িত'। ভূমধ্যসাগরের সাথে ইরানের সরাসরি কোন যোগাযোগ নেই। তাছাড়া বিপ্লবী গার্ড বাহিনী কীভাবে এটি বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারে, সে ব্যাপারটিও স্পষ্ট নয়। তবে, নাকদি "প্রতিরোধের নতুন শক্তির জন্ম এবং অন্যান্য জলপথ বন্ধ করার" কথা উল্লেখ করেছেন।

ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ইরান সমর্থিত সংগঠনগুলো হল লেবাননের হিজবুল্লাহ ও সিরিয়ায় তাদের মিত্র আধা-সামরিক গোষ্ঠী, যাদের অবস্থান জিব্রালটার থেকে বহু দূরে, সাগরের শেষ প্রান্তে।