শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় ক্ষুধার্ত ও হতাশ অসামরিক লোকদের কাছে অবিলম্বে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষীণ একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে তবে সেখানে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে “জরুরি ভিত্তিতে সহিংসতা” বন্ধের মুল আহ্বানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
১৫ সদস্য বিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদে এই দীর্ঘ বিলম্বিত প্রস্তাবটির পক্ষে ১৩ ভোট পড়ে। বিপক্ষে কোন ভোট পড়েনি তবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোট দানে বিরত ছিল। এই ভোটের অল্প আগেই রাশিয়া একটি সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছিল যাতে অবিলম্বে এই যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানানো হয়েছিল।তবে যুক্তরাষ্ট্র ঐ প্রস্তাবে ভেটো দেয়। ঐ প্রস্তাবের পক্ষে ছিল দশটি দেশ, বিপক্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং চারটি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল।
এই চূড়ান্ত ভোটে যুক্তরাষ্ট্র বিরত থাকায় ইসরাইলের অভ্যন্তরে গাজার আকস্মিক আক্রমণের পর গাজা বিষয়ক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় আমেরিকান ভেটো এড়ানো সম্ভব হয়েছে। প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর স্বস্তি প্রকাশ করে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা টমাস-গ্রীনফিল্ড , “ এটা কঠিন বিষয় ছিল , কিন্তু আমরা সেটা করতে পেরেছি”।
তিনি বলেন এই ভোটের ফলে “গাজায় মানবিক সংকট লাঘব করা, সেখানে জীবন রক্ষাকারী সহযোগিতা প্রদান করা , গাজা থেকে জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনা , নির্দোষ অসামরিক লোকজন ও মানবিক কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান এবং স্থায়ী শান্তির জন্য কাজ করা সম্ভব হবে”।
যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা যখন চলছিল তার মধ্যেই শুক্রবার ইসরাইলের বাহিনী গাজায় তাদের আক্রমণের আরও বিস্তার ঘটিয়েছে। ছিটমহলটিতে মানবিক সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাজার বাসিন্দারা গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশে ভারী গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলার কথা জানিয়েছেন।দক্ষিণে খান ইউনিস এবং রাফাহতেও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী গাজার মধ্য অঞ্চলের আল-বুরেজ এবং আশেপাশের বাসিন্দাদের অবিলম্বে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এটি এই এলাকায় সম্ভাব্য স্থল হামলার ইঙ্গিত।