পশ্চিম আফ্রিকার নিজের থেকে ফ্রান্সের শেষ সৈন্যদল প্রত্যাহার

ফাইল-বিদেশী হস্তক্ষেপে বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়তে ডাকা বিক্ষোভের শুরুতে নিজারের ক্ষমতাসীন জান্তার সমর্থকরা সমবেত হয়েছে। নায়ামে, নিজার । ৩ আগস্ট, ২০২৩।

পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ফ্রান্সের এক দশকের বেশি জিহাদি-বিরোধী অভিযান শেষ হতে চললো। নিজের থেকে ফ্রান্সের শেষ সৈন্য বাহিনী প্রত্যাহার করা হচ্ছে শুক্রবার।

নিজের থেকে ফরাসি সৈন্য প্রত্যাহার করা হলেও এই দেশে রয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের শত শত সামরিক কর্মী এবং ইতালি ও জার্মানির কিছু সৈন্য।

ফ্রান্স জানিয়েছে, ২৬শে জুলাই অভ্যুত্থানের পর এই সাবেক ফরাসি উপনিবেশের নতুন ক্ষমতাসীন জেনারেলরা তাদের প্রস্থানের দাবি তোলার পর তারা নিজের থেকে তাদের প্রায় ১৫০০ সৈন্য ও পাইলট প্রত্যাহার করবে।

১৮ মাসেরও কম সময়ে এই নিয়ে তৃতীয়বার এই সাহেল রাষ্ট্র থেকে ফরাসি সৈন্যদের লটবহর পাঠানো হলো।

গত বছর মালি ও চলতি বছরের শুরুর দিকে বুরকিনা ফাসোর মতো উপনিবেশ ছাড়তে তারা বাধ্য হয়েছে। এই দেশগুলি সামরিক বাহিনীর দখলে চলে যাওয়ার পর এই প্রস্থান।

এই তিন দেশই জিহাদি বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াই করছে যা ২০১২ সালে উত্তর মালিতে শুরু হয়েছিল এবং পরে নিজের ও বুরকিনা ফাসোতে ছড়িয়ে পড়ে।

তবে, ২০২০ সাল থেকে এই অঞ্চলে একের পর এক অভ্যুত্থান সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে বৃহত্তর আঁতাতের দিকে নিয়ে গেছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ সেপ্টেম্বর মাসে নিজের থেকে এই বছরের মধ্যে সমস্ত ফরাসি সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি বলা হয়েছিল, প্রথম দলটি অক্টোবরে সে দেশ ত্যাগ করবে।

নিজেরের সেনা বাহিনী গত সপ্তাহে বলে, শুক্রবারের মধ্যে সমস্ত ফরাসি সৈন্যের প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে।

নিজেরে ফ্রান্সের সাবেক মিত্র ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বাজুম এখনও গৃহবন্দি রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা অক্টোবরে বলেছিলেন, নিজেরে প্রায় ১ হাজার সামরিক কর্মী বহাল রাখছে ওয়াশিংটন, তবে নিজারের সেনা বাহিনীকে আর সক্রিয়ভাবে প্রশিক্ষণ বা সহযোগিতা করছে না যুক্তরাষ্ট্র।

চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, নিজেরের সামরিক শাসক যদি দ্রুত জনগণের শাসন ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করে তাহলে সেই শর্তে সে দেশের সঙ্গে পুনরায় সহযোগিতা শুরু করতে তারা প্রস্তুত।