ইরানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, রাশিয়ায় ড্রোন পাঠানোর অভিযোগ পশ্চিমের

প্যালেই কোবার্গের পেছনে অস্তমিত সূর্য। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার এই স্থানে ২০২২ সালের ৫ আগস্ট পারমাণবিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ফাইল ছবি।

সোমবার পশ্চিমা শক্তিগুলো ইরানের সাথে ২০১৫ সালের চুক্তি নিয়ে আলোচনায় তেহরানের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও পরীক্ষা করার, রাশিয়ায় শত শত ড্রোন সরবরাহ করার এবং পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচীবিহীন দেশটির জন্য ইউরেনিয়ামের পরিমাণ নজিরবিহীনভাবে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির অভিযোগ এনেছে। এগুলোর সবই চুক্তিটি অনুমোদন করে জাতিসংঘের এমন একটি প্রস্তাবের লঙ্ঘন।

ইরান ও এর মিত্র রাশিয়া ব্রিটেন,ফ্রান্স ও জার্মানির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ অভিযোগ জোরালোভাবে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশান (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছিল।

ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে তা নিশ্চিত করাই ছিল ছয় পক্ষের এই চুক্তির লক্ষ্য। চুক্তির অধীনে তেহরান তাদের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেয়ার বিনিময়ে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমিত করতে সম্মত হয়েছিল।

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি অনুমোদনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের অর্ধ-বার্ষিক বৈঠকে তীব্র বাদানুবাদ হয়েছে।

.ইরানের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত আমির ইরাভানি এবং রাশিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া উভয়েই জেসিপিওএ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার,পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং বর্তমান স্থবিরতার জন্য “ইরান-বিরোধী” অবস্থানকে দায়ী করেছেন।

সোমবারের কাউন্সিল সভায় জাতিসংঘের রাজনৈতিক প্রধান রোজমেরি ডিকার্লো জোর দিয়ে বলেন,জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এখনো জেসিপিওএ-কে “ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বিশেষভাবে শান্তিপূর্ণ রাখা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান সেরা পথ” বলে মনে করেন।

ইউরোপীয় এবং ইউএস মিনিস্টার কাউন্সেলর জন কেলি জোর দিয়ে বলেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখতে তারা সমস্ত উপায় ব্যবহার করবেন।