গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহতে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে এমন একটি ভবনে ফিলিস্তিনিরা জড়ো হচ্ছে। ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩।
মঙ্গলবার ইসরাইল গাজা উপত্যকায় হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে স্থল অভিযানের পাশাপাশি নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র লোহিত সাগরে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের হাত থেকে জাহাজ চলাচলের পথ রক্ষা করতে মিত্রদের একত্রিত করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিশরের সীমান্তের কাছে অবস্থিত গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যেখানে গেছে।
খাদ্য, পানি ও ওষুধ সরবরাহের প্রয়োজনে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা বিতরণের সুবিধার্থে, গাজায় যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাবে ভোট হবার কথা। এমন এক সময়ে এই হামলা সংঘটিত হয়।
এই মাসের শুরুতে নিরাপত্তা পরিষদ তাদের এক প্রস্তাবে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র এতে ভেটো দেয়ায় প্রস্তাবটি ব্যর্থ হয়।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অনুরূপ একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করে, কিন্তু সেটি অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক নয়।
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ পথ প্রতিরক্ষার জন্য একটি বহুজাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা উদ্যোগ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের জন্য নির্ধারিত জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা বারংবার হামলা চালানোর পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
হুথিদের প্রধান মধ্যস্থতাকারী এবং মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদেল-সালাম সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ বলেছেন, নতুন এই পদক্ষেপের ফলে তাদের আক্রমণ বন্ধ হবে না। তিনি বলেন, হুথিদের কর্মকাণ্ড “গাজার সমর্থনে বৈধ অভিযান।”
পেন্টাগন জানিয়েছে, হুথিরা দশটি বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একশো হামলা চালিয়েছে।
দক্ষিণ ইসরাইলে ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালানোর পর ইসরাইল গাজা শাসনকারী সংগঠনকে ধ্বংস করার প্রতিজ্ঞা করেছে। ইসরাইল বলেছে, সন্ত্রাসী হামলায় ১,২০০ লোক নিহত হয়, এবং ২৪০ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাজায় শতাধিক জিম্মি এখনো রয়ে গেছে।
গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় ১৯,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন, যাদের বেশিরভাগ নারী এবং শিশু।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন হামাসকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গণ্য করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।