ইলন মাস্কের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এক্স সামাজিক মাধ্যমের জন্য কঠোর নিয়মাবলী লঙ্ঘন করছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ক্ষতিকর অনলাইন কন্টেন্ট কমানোর উদ্দেশ্যে তৈরি এই নিয়মাবলী কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটিই এই ধরনের প্রথম তদন্ত।
ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র জোহানেস বারকি বলেছেন, “এতে কমিশন এক্স-এর যেসব সিস্টেম এবং নীতি এই নিয়মাবলী লঙ্ঘন করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে সেগুলোর তদন্ত করবে।” তিনি আরও বলেন, “এর মাধ্যমে তদন্তের ফলাফলের কোনো অগ্রিম আভাস দেয়া হচ্ছে না।”
তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে যে, এক্স (পূর্বনাম টুইটার) বেআইনি কন্টেন্টের বিস্তার রোধে যথেষ্ট কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে কি না এবং “তথ্য জালিয়াতি” মোকাবিলা করার ব্যবস্থাগুলো, বিশেষত কমিউনিটি নোট নামের ফিচারের মাধ্যমে তা মোকাবিলা করার ব্যবস্থা কার্যকর ছিল কি না।
গবেষকদের কাছে এক্স যথেষ্ট স্বচ্ছ ছিল কি না তাও ইইউ পরীক্ষা করবে। এক্সের ব্লু চেক সাবস্ক্রিপশন পরিষেবাসহ ইউজার ইন্টারফেসের নকশা “বিভ্রান্তিকর” বলে যে সন্দেহ আছে, সেটাও তারা খতিয়ে দেখবে।
পূর্ব-প্রস্তুতকৃত এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, “এক্স ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্ট মেনে চলতে অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং এটি নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়ার সাথে সহযোগিতা করছে।” এক্স আরও বলে, “এই প্রক্রিয়া যেন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকে এবং আইন অনুসরণ করে সেটিও নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।”
এই বছরের শুরুর দিকে ইইউ-এর ডিজিটাল পরিষেবা আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কড়া তদন্তের সম্মুখীন হয়েছে।
আইনে তাদের বিশ্বব্যাপী প্রাপ্ত রাজস্বের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা হওয়ার বিধান রয়েছে যার পরিমাণ হতে পারে শত শত কোটি ডলার। এমনকি এতে ইইউ থেকে নিষিদ্ধ হওয়ারও বিধান রয়েছে।
ডিএসএ হলো একগুচ্ছ সুদূরপ্রসারী নিয়মাবলী। এগুলো ব্যবহারকারীদের অনলাইনে নিরাপদ রাখতে এবং ক্ষতিকর কনটেন্টের বিস্তার বন্ধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
ক্ষতিকর কন্টেন্ট বলতে বেআইনি কন্টেন্ট যেমন শিশু যৌন নির্যাতন বা সন্ত্রাসমূলক বিষয়বস্তু অথবা প্ল্যাটফর্মের পরিষেবার শর্তাবলী লঙ্ঘন করে যেমন গণহত্যা বা এনোরেক্সিয়ার মতো বিষয়ের প্রচারকে বোঝায়।