ইসরাইল সফরে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করবেন  

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান

হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তার সফরের আগে গাজা ভূখণ্ডে বৃহস্পতিবার আরও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায় ও যুদ্ধে আটকে পড়া বেসামরিক ফিলিস্তিনি মানুষদের কিভাবে নিরাপত্তা দেয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা রয়েছে এই কর্মকর্তার।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি সংবাদদাতাদের বলেন, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান ইসরাইলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের বৈঠককে, সামরিক অভিযানে “আরও সুনির্দিষ্টতা আনার উদ্যোগ” নিয়ে আলোচনা করতে কাজে লাগাবেন।

কারবি বলেন, “এটাই আমাদের লক্ষ্য এবং ইসরাইলিরা বলছে, এটা তাদেরও লক্ষ্য। তবে, ফলাফলই মূল কথা।”

কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজাতে মানবিক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরাইলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান নিয়ে আলোচনারও পরিকল্পনা রয়েছে সালিভানের।

বর্তমানে শুধুমাত্র রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ প্রবেশ করছে গাজা ভূখণ্ডে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই আহ্বানে ইসরাইল সাড়া দিলে ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান

সৌদি আরবে সালিভান

ইসরাইল এই সপ্তাহে কেরেম শালোমে ত্রাণ-ভর্তি কার্গো পরিদর্শন করা শুরু করেছে। তবে, এই চালানগুলিকে অবশ্যই রাফাহ-তে পৌঁছতে হবে।

হোয়াইট হাউস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সালিভান প্রথমে সৌদি আরবে যান, যেখানে তিনি সৌদির যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সঙ্গে “ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে স্থায়ী ও টেকসই শান্তির জন্য নতুন পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ” এবং গাজাতে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেছেন।

দুই মাস আগে ইসরাইলের উপর হামাসের ভয়াবহ হামলার পাল্টা সামরিক জবাবের প্রতি সমর্থন পুনরায় ব্যক্ত করেে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অন্যান্য কর্মকর্তারা, গাজা ভূখণ্ডে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি আক্রমণে ১৮৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

সাত অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালিয়ে হামাস ১২০০ জনকে হত্যা ও ২০০ জনের বেশি মানুষকে পণবন্দি করে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।