ইসরাইল সম্ভবত আশা করেছিল যুদ্ধ এবং এর কষ্ট ফিলিস্তিনিদের হামাস বিরোধী করবে,যা হামাসের পতন ত্বরান্বিত করবে। কিন্তু পূর্ববর্তী সহিংসতার মতো এটিও ফিলিস্তিনিদের ওপর বিপরীত প্রভাব ফেলছে বলে মনে হচ্ছে।
প্যালেস্টাইন সেন্টার ফর পলিসি এন্ড সার্ভে রিসার্চের পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৪৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা হামাসকে সমর্থন করেন। সেপ্টেম্বরে এই সমর্থনের পরিমাণ ছিল মাত্র ১২ শতাংশ। গাজায় হামাস ৪২ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে; তিন মাস আগে সেখানে এই সমর্থনের পরিমাণ ছিল ৩৮ শতাংশ।
এই সংখ্যা উভয় অঞ্চলে এখনো সংখ্যালঘু।কিন্তু অনেক ফিলিস্তিনি, যারা হামাসের ইসরাইল ধ্বংস করার অঙ্গীকারের সাথে একমত নন এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামাসের হামলার বিরোধিতা করেন, তারাও এটিকে ইসরাইলের কয়েক দশকের পুরনো দখলদারিত্বের প্রতিরোধ হিসেবে দেখে।
মাহমুদ আব্বাসকে প্রত্যাখ্যান
জরিপে দেখা গেছে ফিলিস্তিনিরা পশ্চিমা-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বলেছেন, ৮৮ বছর বয়সী এই নেতাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।
আব্বাসের প্রশাসন ইসরাইল-অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ শাসন করে।
ফিলিস্তিনিরা তার প্রশাসনকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং দখলদারিত্বের স্বৈরাচারী সহযোগী হিসেবে দেখে। কারণ এই প্রশাসন হামাস এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীকে দমন করতে ইসরাইলের সাথে কাজ করে।
যুক্তরাষ্ট্র চায়, আব্বাসের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজাকেও শাসন করুক, যে ভূখণ্ড ২০০৭ সালে তারা এক সপ্তাহের সংঘর্ষে হামাসের কাছে হারিয়েছিল।
কাতারে অবস্থানরত হামাসের নির্বাসিত নেতা ইসমাইল হানিয়াহ বুধবার বলেছেন, গাজার যে পরিকল্পনায় হামাসের অন্তর্ভুক্তি নেই, সেটি একটি “ভ্রম এবং মরীচিকা”। তবে তিনি বলেছিলেন, হামাস আরেকটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারে।
ইসরাইলিরা এই যুদ্ধকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে এবং ৭ অক্টোবরের পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য তারা এই যুদ্ধকে প্রয়োজনীয় মনে করে।
হামাস ৭ অক্টোবর ইসরাইলের বহুল-প্রশংসিত প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেঙে অতর্কিতে হামলা চালায়। ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা সেদিন ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে আক্রমণ চালায়, তারা প্রায় ১২০০ জন মানুষকে হত্যা করে, যাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক। তারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে।