ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে ইইউ’র সম্ভাব্য আলোচনায় ভেটো দেয়ার হুমকি হাঙ্গেরির

ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর কিয়েভে তাদের আলোচনার পরে একটি সংবাদ সম্মেলনের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সাথে যোগ দেন। ফাইল ছবি।

এই সপ্তাহে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দুই দিনের গুরুত্বপূর্ণ একটি শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের ইইউতে যোগদান বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে কি না সে ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিদ্ধান্ত নেবে।

এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাঙ্গেরি ভেটো দেয়ার হুমকি দিচ্ছে।

রাশিয়া ইউক্রেনের পুরোদমে আক্রমণ শুরু করার কয়েক মাস পরে ২০২২ সালের জুন মাসে ইইউ ইউক্রেনের প্রার্থিতার মর্যাদা অনুমোদন করেছিল।

কিয়েভের সাথে আনুষ্ঠানিক সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন কি না, সে ব্যাপারে ইইউ রাষ্ট্রপ্রধানরা এই সপ্তাহে ১৪-১৫ ডিসেম্বর ব্রাসেলসে হতে যাওয়া ইউরোপীয় কাউন্সিলের শীর্ষ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।

সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্রো কুলেবা বলেন, তার দেশ ইতোমধ্যেই ইইউর দাবি অনুযায়ী অনেক সংস্কার সম্পন্ন করেছে।

বাধা দিচ্ছে একটিমাত্র ইইউ সদস্য রাষ্ট্র: হাঙ্গেরি।

দেশটির সরকার বলছে, কিয়েভ ইইউতে যোগদানের আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত নয়। তারা যুক্তি দেয়, যুদ্ধের মধ্যে থাকা একটি দেশের ইইউর সাথে এই ধরনের আলোচনা শুরু করা উচিত নয়।

হাঙ্গেরির মন্ত্রীরা ইইউর ২০২৪ সালের বার্ষিক বাজেটে কিয়েভের জন্য প্রস্তাবিত ৫৪০০ কোটি ডলারের ইইউ সহায়তা প্যাকেজ এবং ইউক্রেনের সদস্যপদের আহ্বানে ভেটো দেয়ার হুমকি দিয়েছে।

ইউক্রেনের যোগদান নিয়ে হাঙ্গেরির সাথে ইইউ-র বিরোধ আইনের শাসন নিয়ে পৃথক একটি ইস্যুর কারণে জটিল রূপ ধারণ করেছে।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র থেকে পিছিয়ে আসার বিষয়ে উদ্বেগের কারণে ব্রাসেলস ইইউর কোভিড-পরবর্তী প্রণোদনা তহবিল থেকে হাঙ্গেরির প্রাপ্য প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার আটকে রেখেছে।

ইইউ নেতারা রাশিয়ার ওপর আরোপ করতে যাওয়া নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। এর মধ্যে রাশিয়ার হীরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত।

শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের ইস্যুটি প্রাধান্য পাবে।

ইসরাইল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকারী ইসরাইলি বসতি স্থাপনাকারীদের ওপর গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

ইইউ একই প্রকার পদক্ষেপ নেবে কি না সে বিষয়ে শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনা করা হবে।